আকাইদ শব্দের অর্থ কি ?
আকাইদ একটি আরবী শব্দ যার অর্থ হলো – বন্ধনসমূহ, বিশ্বাসমালা। আকাইদ শব্দের অর্থ কি, আকাইদ শব্দটি বহুবচন একবচনে আকিদা বলা হয়।আকাইদ শব্দের অর্থ হল বিশ্বাস বা বিশ্বাস। আকিদা হল ঈমানের প্রথম ধাপ। আকায়েদের সংজ্ঞা: মৌলিক বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস বা বিশ্বাসকে আকাইদ বলে। এর অর্থ হল আল্লাহ, নবী-রাসূল, ফেরেশতা, আখিরাত ও তাকদীর, আসমানী কিতাব, হেক্রাফটার ইত্যাদির উপর ভরসা করা।
আকাইদ কাকে বলে
আমরা পূর্বেই জেনেছি আকাইদ শব্দের অর্থ হলো বিশ্বাস মালা। যে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে মানুষের চিন্তা চেতনা, কাজ কর্ম পরিচালিত হয় তাকে আকাইদ বলা হয়।
আল্লাহ কে? আল্লাহর পরিচয়
যিনি আমাদের মাবুদ অর্থাৎ যার এবাদত আমরা করি, যিনি সর্বশক্তিমান যার হুকুমে সমস্ত কিছু সৃষ্টি হয়েছে এবং ধ্বংস হবে যাহার কোনো শরিক নেই, যিনি সমস্ত কিছু দেখতে ও শুনতে পান, যিনি অনাদি অনন্ত, যিনি কিয়ামতের দিন আমাদের ভালো-মন্দের বিচার করবেন তিনি আল্লাহ। পবিত্র কুরআনের সূরা সূরা ইখলাস এ মহান আল্লাহতালা তার পরিচয় তিনি নিজেই দিয়েছেন।
বল তিনি আল্লাহ, একক। আল্লাহ কারো উপর নির্ভরশীল নয়, সবাই তার ওপর নির্ভরশীল। তাঁর কোন সন্তান নেই এবংতিনি কারণ সন্তান নন। এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
আরো পরুন: কুরআন শব্দের অর্থ কি – আল কুরআন কোথায় সংরক্ষিত আছে?
রাসুল এর পরিচয়
মহান আল্লাহতালাপথ ভ্রষ্ট পথ হারা মানুষকে সঠিক পথে আনার জন্য অর্থাৎ তাদের হেদায়েতের জন্য সর্ব গুণে গুণান্বিত নবী-রাসূলগণ কে বিশেষ বিশেষ কিতাবসহএই মানবজাতির কাছে পাঠিয়েছেন।তাহারা সঠিক পথ হারা বিপথগামী মানুষকে আল্লাহর বাণী অর্থাৎ আল্লাহর কথা দ্বারা হিদায়াত করে তাদের মধ্যে শান্তি সুশৃংখল স্থাপন করতে চেষ্টা করেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, 570 খ্রীষ্টাব্দে মক্কার সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশ জন্মগ্রহণ করেন, তার পিতার নাম আব্দুল্লাহ ও মাতার নাম আমেনা, এবং তিনি সর্বশেষ নবী ও রাসূল। তারপর আর কোন নবী ও রাসূল দুনিয়াতে আসবে না। তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচার করেছেন ও আল্লাহর বাণী সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন
পবিত্র কুরআন
পবিত্র কুরআন আল্লাহর নাযিলকৃত ধর্মগ্রন্থ, ইহা শেষ নবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওপর হযরত জিবরাঈল আলাইহিস সাল্লাম এর মারফতে নাযিল হয়েছে। এই পবিত্র কুরআন হচ্ছে মানুষের গাইডলাইন মানবজীবনের ক্যাটালগ এই কিতাবের মধ্যে মানুষের ভালো-মন্দ ও যাবতীয় হুকুম আহকাম লিপিবদ্ধ রয়েছে। প্রকাশ থাকে যে এতে সর্বমোট 104 খানা আসমানী কিতাব তারমধ্যে 100 নাম সহিফা এবং বাকি চার খানা কিতাব হল তাওরাত, যাবুর,ইঞ্জিল ও কুরআন।
হাদিস
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেন বা নিজে করিয়াছেন অথবা কাউকে (সাহাবাদেরক) করিতে দেখিয়া নিষেধ করেন নাই তাহাই হাদিস। যা তিনি আদেশ করেছেন এবং নিষেধ করেছেন।
ফরজ কি
কোরআন হাদিসের অকাট্য দলিল দ্বারা যেসব হুকুম-আহকাম নির্দেশিত হইয়াছে তাহা ফরজ। যেমন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রমজানের রোজা,মালের যাকাত ইত্যাদি।
ওয়াজিব:
রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাহা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং না করার প্রতি ওয়ায়ীদ (ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে) আছে তাহাই ওয়াজিদ যেমন বিতরের নামাজ।
সুন্নতে মুয়াক্কাদা:
রাসূলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করিয়াছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং না করার অপর ওয়ায়ীদ নাই। তাহাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে। যেমন যোহরের সুন্নত নামাজ।
সুন্নতে গায়রে মুয়াক্কাদাহ:
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা করেছেন বলিয়া প্রমাণিত আছে এবং কম সময়ে তা পরিত্যাগ করেছেন, তাহাই সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ যেমন আসরের নামাজের পূর্বে চার রাকাত সুন্নত।
- আকাইদ অর্থ কি আকাইদ কাকে বলে? আকাইদ শব্দটি আকিদা শব্দের বহুবচন আকাইদ অর্থ বিশ্বাস মালা। ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসকেই আকাইদ বলা হয়। ইসলাম আল্লাহ তা’য়ালার মনোনীত একমাত্র দ্বীন বা জীবন ব্যবস্থার নাম। এর দুটি দিক রয়েছে যেমন বিশ্বাস গত দিক ও আচরণগত বা প্রয়োগিক দিক।
- ইসলামে বিশ্বাসগত দিকের নামই হল আকাইদ। আল্লাহ তা’আলা নবী-রাসূল, ফেরেশতা, আসমানী কিতাব, পরকাল, জান্নাত,জাহান্নাম ইত্যাদি আকাইদের অন্তর্ভুক্ত। এ বিষয়গুলো কুরআন ও হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মুসলিম হতে হলে সবাইকে এ বিষয়গুলোর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়।
- এরপর,নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি প্রয়োগিক দিক তথা এবাদত পালন করতে হয়। বস্তুত আকাইদের বিষয়গুলোর উপর বিশ্বাস এর মাধ্যমেই মানুষ ইসলামে প্রবেশ করে। এজন্য ইসলাম সম্পর্কে আলোচনার শুরুতেই আকাইদের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। সুতরাং আমরা বুঝতে পারলাম, আকাইদ ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ কোন ব্যক্তি যদি ভ্রান্ত আকিদা অনুসরণ করে, তাহলে সে ঈমান হারা হয়ে যায়।
১। আকাইদ কি:
আকাইদ শব্দের অর্থ বিশ্বাস মালা। এর মানে ইসলামের মূল বিষয়গুলোর ওপর মনেপ্রাণে বিশ্বাস করা কেই আকাইদ বলে।
ইসলামের মূল বিষয় বলতে তাওহীদ রেসালাত ও আখিরাত আসমানী কিতাব ফেরেশতা ইত্যাদির উপর বিশ্বাস স্থাপন করার নাম আকাইদ।
ইসলামের মূল বিষয় গুলোর উপরে বিশ্বাস স্থাপনকারীর নাম মুসলিম।
২। তাওহীদের বিশ্বাস এর প্রয়োজনীয়তা:
তাওহীদ শব্দের অর্থ একত্ববাদ। মহান আল্লাহ তায়ালা এক ও অদ্বিতীয় সত্তা হিসেবে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করার নামই হলো তাওহীদ।
আল্লাহ এক অদ্বিতীয় তাঁর কোন শরীক নেই তিনি স্বয়ংসম্পূর্ণ তিনি আমাদের রক্ষক সৃষ্টিকর্তা পালনকর্তা রিজিকদাতা তিনি অনাদি অনন্ত তার সমকক্ষ সমতুল্য কিছুই নেই।
তিনি সকলের একমাত্র মাবুদ। সকল প্রশংসা ও ইবাদত একমাত্র আল্লাহরই প্রাপ্য। মনেপ্রাণে এরূপ বিশ্বাসকে তাওহীদ বলা হয়।
একজন মুমিনের আখিরাতে এবং পৃথিবীতে হেদায়েত প্রাপ্ত হওয়ার জন্য তাওহীদ বিশ্বাস এর প্রয়োজনীয়তা অনেক:
আকাইদের প্রথম বিধান:
তাওহীদ বিশ্বাস আকাইদের প্রথম ও সর্ব প্রধান বিধান। তাওহীদে বিশ্বাস না করলে একজন ব্যক্তি ইমানদার ব্যক্তি কখনোই আকাইদ সম্পন্ন হবে না।
তাওহীদ বা একত্ববাদের বিশ্বাসের পর আকাইদের অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়।
হিদায়াত প্রাপ্তি:
মহান আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত প্রাপ্তির জন্য মানুষকে তাওহীদে বিশ্বাস করতে হবে। যুগে যুগে নবী রাসূলগণ পৃথিবীতে এসে আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ এর বাণী প্রচার করেছে।
সকল নবী রাসূলের মূল বানিয়েছিল লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। সুতরাং হিদায়াত প্রাপ্তির জন্য অবশ্যই একজন মানুষকে তাওহীদে বিশ্বাস করতে হবে।
দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা প্রাপ্তি:
আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ অর্থাৎ তাওহীদের বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করে। যে মানুষ আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে সে কখনোই কোন খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়ে না ফলে সে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী লাভ করে।
জাতিগত ভেদাভেদ থেকে বিরত থাকা:
তাওহীদে বিশ্বাসী ব্যক্তিগণ অবশ্যই আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে তার মানে তাওহীদে বিশ্বাসী ব্যক্তি অবশ্যই মনে করেন সকল মানুষই আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং মানুষের মানুষের জাতিগত ভেদাভেদ তৈরি করে না তাওহীদের বিশ্বাসী ঈমানদারগণ। ফলে মানুষের মধ্যে জাতিগত ভেদাভেদ তৈরি হয় না। মানুষ পরস্পর ভ্রাতৃত্ব সহমর্মিতায় উদ্বুদ্ধ হয়।
সফলতা প্রাপ্তি:
তাওহীদে বিশ্বাসীগণ এক আল্লাহ তায়ালার প্রতি নির্ভরশীল। সকল কাজেই তারা আল্লাহ তায়ালার উপর এককভাবে নির্ভর করে। এর ফলে বিপদে-আপদে দুঃখে কষ্টে মানুষ হতাশ বা নিরাশ হয় না বরং আল্লাহর উপর ভরসা রেখে পূর্ণদমে কাজ করতে থাকে এবং সফলতা লাভ করে। এভাবে তৌহিদী বিশ্বাস মানুষকে দুনিয়ার জীবনে শান্তি ও সফলতা দুয়ার খুলে দেয়।
নিয়ম-শৃঙ্খলা শিক্ষা:
আমাদের বিশ্বজগৎ গ্রহ-নক্ষত্র ছায়াপথ নীহারিকা গ্যালাক্সি সবকিছুই এক নিয়মে ঘুরছে। এই সকল নিয়ম আল্লাহ তায়ালারই সৃষ্টি। তাওহীদে বিশ্বাসীগণ আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত সকল জিনিসের নিয়ম-শৃঙ্খলা অনুসরণ করে নিজেরা নিয়ম-শৃঙ্খলা লাভ করে। এবং ব্যক্তিগত সামাজিক জীবনে উন্নতি লাভ করে।
এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম মানুষের জীবনে দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী লাভ করার জন্য তাওহীদে বিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
৩। কুফরীর পরিনাম ব্যাখ্যা:
যারা তাওহীদের বিশ্বাস করে না অর্থাৎ আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ কে অস্বীকার করে তাদের তাকেই কুফরি বলে। যারা কুফরী করে তাদেরকে কাফের বলে অভিহিত করা হয়।
কুফরীর কুফল ও কুফরীর পরিনাম:
কুফর এর কুফল ও পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। এটি নৈতিকতা ও মানবিক আদর্শের বিপরীত। কেননা আল্লাহ তাআলা আমাদের শ্রষ্ঠা। তিনি আমাদের রিজিকদাতা, পালনকর্তা ও রক্ষা কর্তা।
সুতরাং মহান আল্লাহকে অবিশ্বাস করা কিংবা তার বিধান অস্বীকার করা কোনক্রমেই উচিত নয়। এগুলো অকৃতজ্ঞতার শামিল। কুফর এর কুফল ও কুফরীর পরিনাম নিয়ে আলোচনা করা হলো-
১. জাহান্নাম প্রাপ্তি-
যারা কুফরী করে অর্থাৎ আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে না তারা জাহান্নামে নিমজ্জিত হবে যেখানে তারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি ভোগ করবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন-
“আর যারা কুফরী করে এবং আমার নিদর্শনগুলো মিথ্যা প্রতিপন্ন করে তারাই জাহান্নামের অধিবাসী।
তারা সেখানে চিরকাল থাকবে। (সূরা আল বাকারা, আয়াত-৩৯)
২. ঈমান না থাকা:
যারা কুফরী করে বা আল্লাহর একত্ববাদের বিশ্বাস করে না তারা ঈমানদার থাকে না।
কুফর এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের কে কোন ভাবেই ঈমানদার বলা যায়না।
কখনো কোনোভাবে কোহলির সাথে জড়িত হলে ঈমান চলে যায় এবং সাথে সাথে পুনরায় ঈমান আনতে হয়।
এখন আমরা অ্যাসাইনমেন্ট এর চতুর্থ প্রশ্ন শিরকের কুফল ও পরিণতি নিয়ে আলোচনা করবো।
৪। শিরকের কুফল ও পরিণতি:
শিরক শব্দের অর্থ অংশীদার সাব্যস্ত করা বা সমকক্ষ মনে করা।
ইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ তায়ালার সাথে অন্য কিছুকে অংশীদার করা বা সাব্যস্ত করা কি শিরক বলে।
শিরকের কুফল ও পরিণতি:
শিরক একটি অত্যন্ত জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহ তায়ালা বলেন- “নিশ্চয়ই শিরক চরম জুলুম” (সূরা লোকমান, আয়াত-১৩)
১. আল্লাহর সাথে অন্যায়:
শিরক-কারী আল্লাহ তা’আলার একত্ববাদ এর সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
সে আল্লাহর সাথে অন্যান্য সমকক্ষ তৈরি করে। তাই শিরক আল্লাহ তা’আলার সাথে এক রকম অন্যায় করা।
২. মর্যাদাহানি:
শিরক মানুষের জন্য মর্যাদাহানিকর একটি কাজ।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত অথচ শিরক-কারী রাজার সৃষ্টির কাছে নিজেদের মাথা নত করে যাতে তাদের মর্যাদাহানি হয়।
৩. ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ:
মহান আল্লাহ তায়ালা শিরকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের ক্ষমা করেন না। শিরকের পরিণত দ্বন্দ্ব ভয়াবহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন –
“নিশ্চয়ই আল্লাহ তার সাথে শিরক করার অপরাধ ক্ষমা করেন না।
তা ব্যতীত অন্য যে কোন পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন” (সূরা আন নিসা, আয়াত ১১৬)