ই কমার্স কি – ইলেকট্রনিক কমার্স
ই কমার্স কি – ইলেকট্রনিক কমার্স
ইলেকট্রনিক কমার্স কে সংক্ষেপে ই- কমার্স বলা হয়। এটি একটি আধুনিক ব্যবসা পদ্ধতি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে এ ব্যবসা এবং লেনদেন পরিচালিত হয়ে থাকে। বস্তুত ইলেকট্রনিক কমার্স হচ্ছে ডিজিটাল ডাটা প্রসেসিং এবং ট্রান্সমিশনের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত আদান প্রদান। সাধারণত এ কাজটি সম্পাদন করা হয় সবার জন্য উন্মুক্ত একটি নেটওয়ার্ক তথা ইন্টারনেটের মাধ্যমে। তাই বলা যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সংক্রান্ত আদান প্রদান বা লেনদেন করার প্রক্রিয়াই হলো ই কমার্স।
ই-কমার্সের বির্বতন প্রক্রিয়াঃ
সত্তর দশকে ই-কমার্সের সুচনা হয়। কিন্তু আমরা বর্তমানে যে ই-কমার্স
সিস্টেমটি দেখছি এ পর্যায়ে প্রায় ৩০ বছর সময় লেগেছে। গত ৩০ বছরে ইলেকট্রনিক কমার্সের মানেটাই পরিবর্তিত হয়ে গেছে। প্রকৃতপক্ষে ইলেকট্রনিক কমার্স বলতে প্রথমে যা বোঝা যেত সেটি হলো ইলেকট্রনিক ইলেকট্রনিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ(ইডিআই) এবং ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার(ইএফটি) এর মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাণিজ্যিকভাবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি। এই উভয় প্রযুক্তিই ১৯৭০ সালের পরে চালু হয়। আর এর ফলে ব্যবসার ক্ষেত্রে পারচেজ অর্ডার কিংবা ইনভয়েসের মতো বাণিজ্যিক ডকুমেন্টগুলো ইলেকট্রনিক উপায়ে প্রেরন করার সুযোগ তৈরী হয়। ই-কমার্সের আরেকটি রূপ ছিল এয়ারলাইন রিজার্ভাশন সিস্টেমের প্রবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রে স্যাবরে এবং যুক্তরাজ্যে ট্রাভিকম নামের দুটি প্রতিষ্ঠান এর প্রচলন ঘটায়। মিশেল আলড্রিচ এর হাত ধরে ১৯৭৯ সালে যুক্তরাজ্যে অনলাইন শপিং এর পদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়। ১৯৯০ সাল থেকে ই-কমার্সে যুক্ত হয় এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স cvwbs সিস্টেম,ডেটা মাইনিং এর মত বিষয়গুলো। ১৯৯৪ সালের দিকে ইন্টারনেট ব্যপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তারপরও সিকিউরিটি প্রটোকলসমূহ ও ডিএসএল (DSL) এর প্রচলন হতে আরও পাঁচটি বছর সময় লাগে। এর ফলে ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে ঘটেছে অভাবনীয় উন্নতি। আর ২০০০ সালের দিকে অসংখ্য ইউরোপ এবং আমেরিকান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের সেবাগুলো ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের মাধ্যমে শুরু করে। এর পর থেকে সবাই ই-কমার্স নামের সাথে ক্রমেই পরিচিত হয়ে ওঠে।
SEE More: বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা
ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধাঃ
ই-কমার্স এর সুবিধাঃ
E-Commerce এর মাধ্যমে ব্যবসা করার অনেক সুবিধা আছে। প্রথম যে সুবিধা সেটা হলো পুরো একটা ব্যাবসা কে Automation করা যাই । আরও যে সুবিধা গুলো আছে তা নিম্নে বর্ণিত হলোঃ-
1. Geographical: E-Commerce- এর অন্যতম সুবিধা হলো World এর যে কোন প্রান্তের যে কোন Internet ব্যবহার কারী এটা browse করতে পারে তাদের পছন্দ অনুযায়ী পন্য ক্রয় বিক্রয় করতে পারে।
2. Expand Customer Base: আপনি যদি আপনার Customer দের চাহিদা অনুযায়ী পন্য Purchase
করতে না পারেন তাহলে অন্য যেকোন Channel থেকে Purchase করতে পারবেন এতে করে আপনার Customer আপনার প্রতি সন্তুষ্ট থাকবে।
3. Neverclose: Customer যেকোন সময় আপনার Site Visit করতে পারবে সেটা রাতও হতে পারে বা বন্ধের দিনও হতে পারে ২৪ ঘন্টা আপনার Site সচল থাকবে।
4. Reduce marketing and advertising cost: যে কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান খরচের খাত হলো Marketing এবং Advertising বিভাগ। আপনি বিনা খরচেই Internet এ আপনার Site এর Marketing বা প্রচার করতে পারবেন।
5. Reduce Paperbased work: সরাসরি কোন পন্য বিক্রি করতে গেলে তার হিসাব পত্র সবকিছুই কাগজে লিখে রাখা লাগে আর এসবের জন্য আলাদাভাবে কর্মচারীও নিয়োগও দেওয়া লাগে। কিন্তু ই- কমার্স এ সবকিছুই electromic processing system হওয়াই আপনার সময় এবং খরচ দুটিই বেচে যাবে।
যে সুবিধা গুলো আছে তাহলোঃ
১। আপনি আপনার ইচ্ছা মতো যতো খুশি পন্য আপনার Site এ Add করতে পারবেন।
২। E-Commerce business টা অনেক Cheapest অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে।
৩। ব্যবসার মান উন্নয়ন করা যায়।
৪। দিন দিন যেভাবে Market গুলোতে লোক সমাগম বাড়ছে রাস্তা ঘাটে যানযটের পরিমান যেভাবে বাড়ছে এতে করে মানুষ এখন Internet থেকে পন্য ক্রয়ের প্রতি বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। সুতরাং এটা একটা অনেক বড় কারণ এবং সুবিধা ই-কমার্স Business এর জন্য।
৫। দ্রুত পণ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছায়।
৬। এছাড়া E-Commerce এর User রা খুব অল্প সময়ে পন্য কিনতে পারে এবং তারা খুব সহজেই Decision নিতে পারে।
৭। ই-কমার্সের সাহায্যে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়কে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে করানো যায়।
৮। ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সহজে সুসম্পর্ক তৈরি করে।
৯। তথ্যের বিনিময় ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা যায়।
১০। তথ্যের নির্ভুলতা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায়।
১১। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের খরচ ব্যাপকভাবে কমায়।
১২। পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন করা যায় ইত্যাদি।
ই-কমার্সের প্রকারভেদঃ
ব্যবসায় থেকে ভোক্তা এবং ব্যবসায় থেকে ব্যবসায় সম্পর্কে বলতে পারবেন। ভোক্তা থেকে ব্যবসায় এবং ভোক্তা থেকে ভোক্তা কী বলতে পারবেন। ভোক্তা স্বার্থ ব্যাখ্যা করতে পারবেন। ই-কমার্স ইন্টারনেটের মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্বের প্রায় ২০০ টিরও বেশি দেশ ইন্টারনেটের সাথে সম্পৃক্ত।
যে দেশে টেলিযোগাযোগ রয়েছে সে দেশেই এ ব্যবসায় পরিচালনা করা সম্ভব। ই-কমার্সকে মূলত চারভাগে ভাগ করা হয়েছে। পণ্যের লেনদেন ও এর প্রকৃতির ওপর ভিত্তি করেই এ শ্রেণিবিভাজন। যথাঃ-
- ১. ব্যবসায় থেকে ভোক্তা (Business to Consumer: B2C)
- ২. ব্যবসায় থেকে ব্যব্যসায় (Business to Business: B2B)
- ৩. ভোক্তা থেকে ব্যবসায় (Consumer to Business: C2B)
- ৪. ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer: C2C)