ওজন বাড়ানোর উপায়

5/5 - (1 vote)

ওজন বাড়ানোর উপায়

ওজন বাড়ানোর উপায় আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবে ওজন কিভাবে বাড়ানো যায় বা চিকন থেকে কিভাবে মোটা হওয়া যায় জানতে পারবেন তাছাড়া ওজন বাড়ানোর জন্য সকাল-বিকেল কি ধরনের খাবার খেতে হবে পুরো বিস্তারিত আলোচনা করব।

দুই অক্ষর দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম

ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তা

চিকন মানুষের জন্য ওজন বাড়ানো সকালের নাস্তাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই আপনি সকালের নাস্তার সাথে দুধ কলা ডিম খেজুর রাখতে পারেন। একটি মানুষের শরীরে যত ধরনের পুষ্টির প্রয়োজন হয় প্রায় সকল ধরনের পুষ্টি রয়েছে দুধে। দুধে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো যে কোন খাবারের সাথে এক গ্লাস দুধ পান করা যায়। কলাতে ভিটামিন b6 রয়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষেত্রে কলা অপরিহার্য । কলাতে রয়েছে ফাইবার যা হজম করতে সাহায্য করে। হার্টের রোগীদের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে । ডিম অনেকটাই প্রকৃতি মাল্টিভিটামিন এতে রয়েছে ভিটামিন এ চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে ভিটামিন b2 রয়েছে যা স্বাস্থ্যের ত্বককে ভালো রাখে। জিংক রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই সকাল সকাল নাস্তার সাথে একটি সিদ্ধ ১ ডিম খেয়ে নিতে পারেন। এগুলো আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। খেজুর একটি অসাধারণ ফল ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখে আয়রন ফলিক এসিড রয়েছে যা রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে থাকে। তাই সকালবেলা কয়েকটা খেজুর খেয়ে নিতে পারেন যা ওজন বাড়াতে সাহায্য করবে। উপরে যে কয়েকটি খাবারের কথা বলা হলো সেগুলির সকালে খেতে হবে অথবা প্রতিদিন খেতে হবে এরকম নয়।

Google News Flow Now

মোটা হওয়ার জন্য দুপুরের খাবার

দুপুরের খাবারে ডাল রাখবেন পাতলা ডাল না খেয়ে গন ডাল খাওয়ার চেষ্টা করবেন ডাল আমরা একটু অবহেলা করে দেখলো এই ডালে কিন্তু অনেক পুষ্টিকর একটি খাবার। ডালে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন রয়েছে যেমন আমরা গরুর, খাসির মাংস থেকে প্রোটিন পাই ঠিক তেমনি কিন্তু ডাল থেকে প্রোটিন পাওয়া যায়। গরু ও খাসির মাংস যে ক্ষতিকর চর্বি যুক্ত থাকে সেটা কিন্তু ডালে থাকে না তাই প্রোটিনের জন্য ডাল খুবই একটি সমৃদ্ধ খাদ্য। দুপুরের খাবারের সাথে মুরগির মাংস রাখতে পারেন এক টুকরো অথবা দুই টুকরা অনেকেই বলতে পারে গরুর মাংস অথবা খাসির মাংস খেয়ে ওজন বাড়ানো সম্ভব হবে তবে এগুলো নিয়মিত খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই গরু এবং খাসির মাংস খাওয়াতে অনেক ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তাই এগুলো নিয়মিত না খাওয়াটাই ভালো। গরুর মাংস খাসির মাংস থেকে যে প্রোটিন আসতো আপনি চাইলে সেগুলোর ডাল মুরগির মাংস ডিম থেকে এই ধরনের প্রোটিন নিতে পারেন। দুপুরের খাবার আপনি দিনের ব্যস্ততার কারণে এগুলো খেতে না পারেন তাহলে আপনি রাত্রে এই ধরনের খাবার খেতে পারে।

ওজন বাড়ানোর জন্য নাস্তা

ওজন বাড়ানোর জন্য একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা হল বাদাম যেকোনো ধরনের বাদাম খেতে পারেন চিনা বাদাম, কাঠবাদাম কাজুবাদাম পেস্তা বাদাম যেটা আপনার জন্য সুবিধা হয় সেটাই খেতে পারেন। বাদামের স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে । অনেক ধরনের মিনারেলের ভিটামিন ফাইবার আছে। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য যে কোন নাস্তায় বাদাম রাখতে পারবে। দুপুরে এবং রাতে খাবার পরও বাদাম খেতে পারেন কয়েকটা। তারপর বাদামের সাথে কিসমিচ খেতে পারেন কিসমিচ যেহেতু আঙ্গুর ফল শুকিয়ে বানানো হয় তাই অল্প পরিমাণ খেলেই অনেক ভিটামিন মিনারেলের পাওয়া যাবে। তবে খালি কিচমিচ খেলে অনেক দাঁতের সমস্যা দেয় তবে সে ক্ষেত্রে আপনি বাদাম অথবা টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

মানুষ স্বভাবজাত ভাবে একটু সুন্দরের পূজারী । পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ চায় নিজের মত ফিট থাকতে । আর বর্তমানে এই ফিট থাকা নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই । অন্যদিকে এই প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন কিছু করা প্রায় অসম্ভব তাই আপনি যদি ঘরোয়া ভাবে নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তে চান আর ওজন কমানোর বদলে ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনি নিঃসন্দেহে নিচের লেখাগুলো প্রতি একটু মনোযোগ দিন ।

মসজিদের ছবি

এসব বিষয়গুলো তৈরি করতে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে আপনার শরীরের গ্রহণ ক্ষমতা অনুযায়ী এটি ঠিক কিনা।

ওজন কমানো যেমন কষ্টকর ঠিক তেমনি ভাবে ওজন বাড়ানো একটু কঠিন। আর যদি আপনি এই নির্দেশনা গুলো ফলো করেন তাহলে আপনি অবশ্যই কম সময়ে আপনার ওজন বাড়াতে পারেন।

আমাদের নির্দেশনা গুলো ফলো করার ভালো দিক হলো এগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে আলাদা কোনো ঝামেলা তৈরি করবে না। খুবই সহজ এবং কার্যকরী উপায়ে এগুলো আপনাকে দ্রুত উপকার দেখাবে।

  • তাই দ্রুত ওজন বাড়ানোর উপায় গুলো খুব সহজভাবে নিচে উপস্থাপন করা হলো
    ওজন বাড়ানোর আগে আপনার ওজন কেন কম তা আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে । আপনি কি বংশগতভাবে একটু শুকনো, নাকি আপনি খাবার কম খান বলে এই অবস্থা নাকি আপনার বংশ অনুযায়ী আপনার শরীর স্বাস্থ্য এরকম।
  • অথবা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাছাড়া আপনাকে এটাও দেখতে হবে আপনার শরীরে কোন রোগ আছে কিনা, এসব লক্ষ করতে হবে যদি আপনি সুন্দর স্বাভাবিক ভাবে শরীরের ওজন বাড়াতে চান কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়া।

প্রথমতঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোঃ

একটা মানুষ যথেষ্ট স্বাস্থ্যবান হওয়ার পরও রোগপ্রতিরোধ কম হওয়ার কারণে শরীর ভেঙে যায়। তাই আপনাকে আগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে।যদি তা কম হয় তাহলে তা বাড়াতে হবে। এটা করতে আপনাকে দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই ,গো্‌ল, ছানা ইত্যাদি খেতে হবে। ভিটামিন ডি এর জন্য কিছুটা সময় আপনি আপনার শরীরটাকে রোদে লাগাতে পারেন।

দ্বিতীয়তঃ শরীরচর্চাঃ

মনে করতে পারেন আপনি তো হালকা পাতলা, কেন আপনি ব্যায়াম করবেন ? কিন্তু শরীর চর্চার মাধ্যমে আপনার পেশি শক্ত হবে এবং খাওয়ার রুচি বাড়বে ফলে আপনার ওজন বাড়াতে তা আপনাকে কার্যকরী ভূমিকা দিবে

হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার কি

তৃতীয়তঃ সুখনিদ্রাঃ

শুধু নিদ্রা গেলে হবে না ,আপনাকে দেখতে হবে আপনার নিদ্রা টা সুখকর কিনা । ষ্ট্রেচ ফ্রি হয়ে আপনাকে ঘুমাতে হবে । আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে।

কারণ আপনার ওজন বাড়াতে ঘুম কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চেষ্টা করবেন কাজের ফাঁকে বিকেলে একটা ঘুম দিতে।বিকেলের ঘুম খুব তারাতারি ওজন বাদাতে সাহায্য করবে।

ওজন বাড়ানোর উপায়
ওজন বাড়ানোর উপায়

খাবারঃ

আপনাকে অবশ্যই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খেতে হবে।

এরপর আপনাকে কিছু কার্যকরী খাবার খেতে হবে। ওজন বাড়ানোর জন্য এই খাবারগুলো খুবই দরকার। তার মধ্যে রয়েছে দুধ আর মধু। এটা যদি মিশিয়ে আপনি খেতে পারেন তাহলে কিন্তু আপনার জন্য ওজন বাড়ানো সহজ হয়ে যাবে ।

বেশি ভালো হবে যদি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে দুটি কাজু বাদাম ও দুটি কিশমিশ খান ।বেশি করে বাদাম খান কারণ বাদাম ওজন বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ওজন বাড়ানোর কার্যকরী সব খাবার আপনি সব সময় আপনার সাথে রাখার চেষ্টা করবেন। যেগুলো আপনার দুই ঘন্টা পর পর খেতে হবে সেগুলো আপনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানে আপনার সাথে করে রাখতে পারেন ।

আমরা অনেকেই ফাস্ট ফুড কে খুব একটা পছন্দ করি না । কিন্তু আপনি যেহেতু হালকা-পাতলা যেহেতু আপনার মোটা হওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা আপনার মনের মধ্যে আছে সুতরাং আপনি ফাস্টফুড জাতীয় কিছু খাবার খেতে পারেন । ওজন বাড়াতে এই খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । এরমধ্যে থাকতে পারে আইসক্রিম, কোলড্রিং, বার্গা্‌র, সিঙ্গারা প্রভৃতি ।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *