খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২২
খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২২
খতিয়ান বের করার নিয়ম ২০২২ প্রিয় পাঠক আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আজকের নতুন আর্টিকেল এ আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানতে যাচ্ছি। আজ আমরা জানব খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে। জমি-জমা সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজে খতিয়ানের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু আমরা অনেকেই খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে জানি না।
খতিয়ান বের করতে কি কি লাগতে পারে? অথবা এটি কত দিনের মধ্যে বের করা যায়? আজকের আর্টিকেল এ এসকল সকল বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সুতরাং খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়বেন।
Google News Flow Now
খতিয়ান কি?
খতিয়ান বের করার নিয়ম জানার আগে আমাদের জানতে হবে যে আসলে খতিয়ান কি?
সহজ ভাষায় খতিয়ান হল জমির মালিকানার সত্যতা বিষয়ক ডকুমেন্টস বা কাগজপত্রের সমন্বয়ক কে খতিয়ান বলা হয়। অর্থাৎ খতিয়ান এর মাধ্যমে জমির আসল মালিক কে তার সত্যতা যাচাই করা যায়। কারণ খতিয়ান এ জমির মালিক এর সকল তথ্য উল্লেখ থাকে। খতিয়ান এ জমির মালিক অথবা জমির একাধিক মালিক,জমির দাগ নাম্বার, মালিক এর পিতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জমির পরিমাণ ইত্যাদি সকল তথ্য উল্লেখ করা থাকে।
তাই জমি বিক্রি বা অন্য জমি জমা সক্রান্ত কোন কাজ এ খতিয়ানের প্রয়োজন পড়ে। এটি ছাড়া জমি জমার কোন কাজ করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের খতিয়ান বের করার নিয়ম জানা জরুরি।
খতিয়ান এর প্রকারভেদ
খতিয়ান এর কিছু প্রকারভেদ রয়েছে। খতিয়ান বের করার নিয়ম জানার আগে আমরা খতিয়ান এর সকল প্রকারভেদ সম্পর্কে আমরা জানব।তাহলে খতিয়ান সম্পর্কে আমাদের ধারণা আরও বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান এ ৪ ধরণের খতিয়ান দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো হলো –
- সি.এস খতিয়ান
- এস. এ খতিয়ান
- আর.এস খতিয়ান
- বি.এস খতিয়ান
এবার চলুন এই সব খতিয়ান সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
সি.এস খতিয়ান
সি এস খতিয়ান বাংলার আমলের সর্বপ্রথম খতিয়ান। এটি ব্রিটিশ সরকার এর আমলে তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৯০ সালে এসব খতিয়ান তৈরি করা হয়েছিল। তখন তৈরি সকল খতিয়ান সি. এস খতিয়ান নামে পরিচিত।
এস. এ খতিয়ান
সি. এস খতিয়ান খতিয়ান এর পর এস.এ খতিয়ান তৈরি করা হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসন শেষ এ পাকিস্তানি শাসন আমলে এস. এ খতিয়ান তৈরি করা হয়। পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬-১৯৬০ সালের মধ্যে এই এস.এ খতিয়ান তৈরি করেছিল।
কানাডা ভিসা খরচ ২০২২ – কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা 2022
আর.এস খতিয়ান
আর.এস খতিয়ানকে সংশোধনী খতিয়ান বলা যেতে পারে। আগের তৈরি সি.এস এবং বি.এস খতিয়ান এ কিছু ভুল ত্রুটি দেখা দেয়। বাংলাদেশ সরকার এই ভুল ত্রুটি গুলো সংশোধন করে যে খতিয়ান তৈরি করেছিল তা আর.এস খতিয়ান নামে পরিচিত।
বি.এস খতিয়ান
বর্তমান যে সকল খতিয়ান চলমান রয়েছে তাদের বি.এস খতিয়ান বলা হয়। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে যে সকল খতিয়ান তৈরি হবে বা হচ্ছে সেগুলো বি. এস খতিয়ান নামে পরিচিত। এগুলোর কার্যক্রম এখনো চলছে।
খতিয়ান বের করার নিয়ম
খতিয়ান কি এসম্পর্কে আশাকরি আপনারা বুঝতে পেরেছেন। এখন আমরা জানব খতিয়ান বের করার নিয়ম সম্পর্কে। সাধারণত ২ ভাবে আপনি খতিয়ান বের করতে পারেন। অনলাইন এ অথবা অফলাইনে। এই দুই পদ্ধতি সম্পর্কেই নিচে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হলো –
অফলাইন এ খতিয়ান বের করার নিয়ম
অফলাইনে খতিয়ান বের করা বলতে সশরীরে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ান বের করা।খতিয়ান বের করার নিয়ম এর এই ধাপ এর ক্ষেত্রে আপনাকে সেটেলমেন্ট অফিসে গিয়ে খতিয়ান এর জন্য আবেদন করতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ যথাযথ ভাবে আবেদন করার কিছু দিন পর আপনি আপনার খতিয়ানটি পেয়ে যাবেন। তবে এক্ষেত্রে দালালদের থেকে সাবধান থাকবেন। সেটেলমেন্ট অফিসের অনেক দালাল এর খপ্পর এ পড়ে অনেকে প্রচুর অর্থ খরচ করেও সময়মত তাদের খতিয়ান পাচ্ছেন না। আবার খতিয়ান এ কোন জালিয়াতি আছে কি না তা বোঝার জন্য ভলিউম নাম্বার ভালো ভাবে মিলিয়ে নিবেন। ভলিউম নাম্বার এ মিল না থাকলে বুঝতে হবে যে খতিয়ান এ জালিয়াতি আছে। এসকল বিষয় খেয়াল রেখে আপনি সেটেলমেন্ট অফিস থেকে খতিয়ান তুলতে পারবেন।
অনলাইন এ খতিয়ান বের করার নিয়ম
খতিয়ান বের করার নিয়ম এর এই ধাপ এ আমরা অনলাইনে খতিয়ান বের করা সম্পর্কে জানব। আপনার যারা অফলাইন এ খতিয়ান তোলার ঝামেলায় যেতে চান না তারা চাইলে ঘরে বসে খতিয়ান তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে দালাল এর খপ্পরেও পড়তে হবে না। অনলাইন এ খতিয়ান তুলতে হলে নিচের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন।
ওয়েবসাইটে প্রবেশ
অনলাইন এ জমির খতিয়ান বের করতে হলে আপনাকে একটি স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার এর যেকোনো ব্রাউজার এ প্রবেশ করতে হবে। সেখানে ভুমি মমন্ত্রনালয় এটি লিখে সার্চ করতে হবে। অথবা এখানে ক্লিক করতে হবে। তাহলে আপনাদের সামনে যে ওয়েবসাইটটি চলে আসবে সেখানে খতিয়ান নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। সেখানে ক্লিক করতে হবে।
খতিয়ান ও দাগ অনুসন্ধান
খতিয়ান এর অপশন এ প্রবেশ করার পর আপনারা খতিয়ান ও দাগের অনুসন্ধান নামের একটি অপশন দেখতে পারবেন। তার নিচের খালি ঘর গুলো তে যথাযথ তথ্য দিয়ে পূরণ করে সাবমিট করলে আপনি আপনার খতিয়ান ও দাগের তথ্য খুঁজে পাবেন। ফাঁকা ঘর গুলোতে আপনার বিভাগ,উপজেলা, মৌজা ইত্যাদি সিলেক্ট করবেন।
খতিয়ান যাচাইকরণ
আগের ধাপটি সম্পন্ন করার পর আপনাকে একটি নতুন পেজ এ নিয়ে যাবে। সেখানে আপনি আপনার জমির খতিয়ান নাম্বার বসানো দেখতে পারবেন। এই খতিয়ান নাম্বার এর মাধ্যমে আপনি আপনার খতিয়ানটি যাচাই করতে পারবেন। যদি কোন কারণে এটি না থাকে তবে জমির মালিকের নাম অথবা জমির মালিকের পিতা মাতার নাম দিয়ে সার্চ করে আপনি খতিয়ান এর তথ্য যাচাই করতে পারবেন।
সরকারিভাবে কানাডা যাওয়ার উপায় ২০২২
খতিয়ান ও মৌজার ম্যাপ সংগ্রহ
উপরের ধাপগুলি সঠিক ভাবে অনুসরণ করে থাকলে আপনি আপনার সামনে আপনার খতিয়ান এর সকল তথ্য দেখতে পারবেন। চাইলে তা ডাউনলোড ও করে নিতে পারবেন। এছাড়া এখান থেকে আপনি আপনার মৌজার ম্যাপ ও সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ম্যাপ জমি সংক্রান্ত নানা কাজে প্রয়োজন পড়ে থাকে।
এভাবে সহজেই কোন ঝামেলা ছাড়াই আপনারা অনলাইন এ খতিয়ান এর তথ্য যাচাই ও খতিয়ান বের করতে পারবেন। আপনাকে কষ্ট করে সেটেলমেন্ট অফিসে যেতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
বি এস খতিয়ান বের করার নিয়ম,
খতিয়ান বের করার লিংক,
অনলাইনে খতিয়ান বের করার নিয়ম,
জমির মালিকানা বের করার নিয়ম,
Sa খতিয়ান বের করার নিয়ম,
পর্চা বের করার নিয়ম,
অনলাইনে জমির মালিকানা বের করার উপায়,
খতিয়ান থেকে জমি বের করার,