জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন – জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
আপনারা এই লিঙ্ক আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কপি করে নিবেন এবং যেকোন ব্রাউজার ওপেন করে সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধনের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে পারবেন। সেখানে গিয়ে আপনার প্রয়োজন অনুসারে যে কোন অপশন সিলেক্ট করবেন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করবেন। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ এখন আবেদনের মাধ্যমে করতে হচ্ছে। অতীতে নিকটস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগের অথবা নিবন্ধকের কার্যালয় গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করলে তারা হাতে লিখে জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদান করেছে।
জন্ম নিবন্ধন আবেদন যাচাই
তাছাড়া কম্পিউটারের মাধ্যমে টাইপ করে জন্ম নিবন্ধন সনদ কিছুদিন আগে প্রদান করেছে। কিন্তু বর্তমানে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে হলে আপনাকে আগে আবেদন করতে হবে।আবেদন করার পর আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস নিয়ে নিবন্ধকের কার্যালয় জমা দিলে তারা অল্প কিছুদিনের ভিতর আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদের অরিজিনাল কপি দিয়ে দিবে। আবার তথ্য সংশোধনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করে চলতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদের সাধারণত যে ধরনের তথ্য গত ভুল হয়ে থাকে সে ধরনের অপশন নিয়ে সেই ওয়েবসাইটে ডিজাইন করা হয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ খোলার নিয়ম
ফলে মানুষজন তাদের তথ্য গত সমস্যা সমাধানের জন্য আবেদন করতে পারছে এবং সঠিক বিষয় নির্বাচন করে যাবতীয় ডকুমেন্টস প্রদান করে আবেদন করতে পারছে। তাই আপনাদেরকে এখন আমরা সেই লিংক প্রদান করব এবং লিংকে ঢুকে অন্যান্য স্থানে অথবা অন্যান্য অপশন পেতে কোথায় কি করতে হবে তা জেনে নিবেন। জন্ম নিবন্ধন সনদ এর নতুন সার্ভার এর এড্রেস হলো https://bdris.gov.bd/br/ ।
অর্থাৎ এই ঠিকানায় আপনি প্রবেশ করলে নতুন জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন নামক একটি অপশন পাবেন এবং এখান থেকে আপনাকে নতুন জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য আবেদন করতে হবে। তাছাড়া আপনি যদি জন্ম নিবন্ধন সনদ এর হোম পেজ অথবা অন্যান্য অপশন পেতে চান, তাহলে মোবাইল ফোন দিয়ে ব্রাউজ করলে উপরের ডান দিকের তিন দাগওয়ালা সমান চিহ্নের ওপরে চেপে ধরে রাখবেন। তাহলে সেখানে আপনাদের একটি অপশন আসবে।
সেখান থেকে আপনারা তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন, তথ্য অনুসন্ধান করা, জন্ম নিবন্ধন সনদের পুনর্মুদ্রণ করা, আবেদনপত্রের বর্তমান অবস্থা, আবেদনপত্র বাতিল সহ বিভিন্ন অপশন পেয়ে যাবেন। আপনি যদি তথ্য সংশোধনের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করতে হবে এবং সঠিক বিষয় দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রমাণস্বরূপ কাগজপত্র অনলাইনের মাধ্যমে সাবমিট করে দেখতে পারবেন। জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন
আবার জন্ম নিবন্ধন সনদ এর বর্তমান অবস্থাতে গিয়ে আপনারা যে ধরনের আবেদন এর বর্তমান অবস্থা দেখতে যাচ্ছেন তা সিলেক্ট করবেন এবং অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও জন্মতারিখ প্রদান করে যাবতীয় তথ্য দেখতে পারবেন। অর্থাৎ জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার জন্য আপনাকে এখন আর সরাসরি কারো কাছে গিয়ে অনুরোধ করতে হবে না এবং অতিরিক্ত টাকা প্রদান করে দ্রুতগতিতে এই জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই।
সর্বশেষ নীতিমালা অনুসারে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি করতে হলে আপনাকে কিছু নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে হবে এবং অনলাইনের মাধ্যমে যাবতীয় আবেদন করে নিবন্ধকের কার্যালয় অথবা স্থানীয় সরকার বিভাগের সেটি জমা দিলে তারা আপনাদের থেকে কিছু সময় নিবে। যখন আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ তারা প্রিন্ট করবে তখন চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য কর্মকর্তার সাক্ষ্য সেখানে প্রদান করে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে দিবে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন
বাটন মোবাইলে বিকাশ একাউন্ট খোলার নিয়ম
পৃথিবীতে এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম আছে যারা জন্ম নিবন্ধন কিংবা Birth Certificate সম্পর্কে জানে না। প্রত্যেক মানুষকেই জন্মের পর এই জন্ম সনদ বা জন্ম নিবন্ধন দেওয়া হয়।
যতক্ষণ পর্যন্ত একটি মানুষ ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র পাবে না ততক্ষণ এই জন্ম নিবন্ধন টাই তার জাতীয় পরিচয় পত্রের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।একটা সময় জন্ম নিবন্ধন তৈরি করার জন্য একজন মানুষকে অনেক ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয় কিন্তু বর্তমানে সেই দিন নেই বললেই চলে।
এখন জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করলেই আপনি পেয়ে যাবেন অনলাইন জন্ম নিবন্ধন।
চলুন জেনে আসি কিভাবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন এর জন্য আবেদন করবেন এবং কীভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করবেন।
জন্ম নিবন্ধন সম্পর্কিত প্রশ্ন এবং উত্তরঃ-
প্রশ্নঃ- জন্ম নিবন্ধন তৈরির পর কি তার কোন ভুল তথ্যের সংশোধন করা যাবে?
উত্তরঃ- অবশ্যই যাবে।
প্রশ্নঃ- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত দিন লাগে?
উত্তরঃ- জন্ম নিবন্ধন নম্বর সংক্রান্ত সংশোধনের জন্য কমপক্ষে ১ মাস লাগবে কিন্তু জন্ম নিবন্ধনের নাম ঠিকানা সংশোধন করতে ৩/৪ দিন যথেষ্ট।
প্রশ্নঃ- কোথা থেকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে হবে?
উত্তরঃ- একটি আপনি কোন তথ্য সংশোধন করতে চান তার উপর নির্ভর করবে।সাধারণ ইউনিয়ন পরিষদ/ কাউন্সিলর অফিস অথবা উপজেলা অফিস/ ডিসি অফিসে সংশোধন করতে হয়।
প্রশ্নঃ- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ– এটি নির্ভর করবে আপনি কোন তথ্য সংশোধন করবেন তার উপর।সাধারণত ১০ বছরের উপরে হলে সকল ধরনের এডুকেশনাল সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার ভোটার আইডি কার্ডের কপি, সংশোধনের পক্ষে প্রমাণ।
প্রশ্নঃ- যদি এডুকেশন সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে কি সংশোধন করা যাবে না?
উত্তরঃ– যদি জন্ম নিবন্ধন সংশোধনকারীর বয়স ১০ বছরের নিচে হয় তখন দার কোন এডুকেশনাল সার্টিফিকেট থাকে না। সেক্ষেত্রে তাদের টিকার কার্ড কিংবা মেডিকেল ডকুমেন্টস দিতে হবে।
প্রশ্নঃ- কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করব?
উত্তরঃ– জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে আপনাকে প্রথমে ইউনিয়ন পরিষদ / কাউন্সিলর কার্যালয়ে যেতে হবে। সেখানে দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তাকে আপনার সংশোধিত তথ্য এবং সংশোধন এর পক্ষে প্রমান এবং যাবতীয় ডকুমেন্টস দিতে হবে।
তারপরে আপনাকে একটি ফাইল দেওয়া থাকবে যেটিতে সকল ডকুমেন্টস এবং আবেদন পত্র থাকবে। এই ফাইল নিয়ে আপনাকে ডিসি অফিস/ উপজেলা অফিসে যেতে হবে। জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন
সেখানে দ্বায়িত্বরত কর্মকর্তাকে জমা দিবেন এই ফাইল। তারপর তারা একটি সময় দিবে আপনাকে যেই সময়ে সেখানে আপনাকে উপস্থিত থাকতে হবে।সঠিক সময়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে আপনার সংশোধিত জন্ম নিবন্ধন বা জন্ম সনদ সংগ্রহ করবেন। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার আগে অবশ্যই অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন যাচাই করে নিবেন।
প্রশ্নঃ- কিভাবে জন্ম নিবন্ধন সনদ pdf ডাউনলোড করব?
উত্তরঃ– জন্ম নিবন্ধন সনদ pdf ডাউনলোড করার এখন পর্যন্ত কোন নিয়ম নেই। হয়ত ভবিষ্যতে এমন নিয়ম আসতে পারে।
জন্ম নিবন্ধনের গুরুত্ব জন্ম নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন
জন্ম নিবন্ধন আমাদের প্রত্যেক জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি ছাড়া আমরা কোন সরকারী পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এছাড়াও পাসপোর্ট তৈরি করতে এটি খুব দরকার।তাই প্রত্যেক মানুষেরই দরকার সঠিক তথ্য দিয়ে জন্ম নিবন্ধন করা