তথ্য কাকে বলে
তথ্য কাকে বলে কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হলে সে সম্পর্কিত বিক্ষিপ্ত ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বলে। যেহেতু, ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকে তথ্য বলা হয়, সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন হতে পারে। নিম্মোক্ত আর্টিকেলে উপাত্ত (Data) এবং তথ্য (Information) এর সংজ্ঞা ও পার্থক্য নিয়ে আলোকপাত করা হল।
Google News Flow Now
তথ্য কাকে বলে?
ডেটাকে (Data) প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থায় পাওয়া যায়, তাকে তথ্য (Information) বলে। তথ্য হল প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা, যা আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
তথ্যকে প্রক্রিয়াকৃত, সংগঠিত, সুনির্দিষ্ট এবং কাঠামোগত উপাত্তের রূপ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। এটি নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে এবং ডেটার নির্ভরযোগ্যতা উন্নত করে। যে কোন তথ্য বা ইনফরমেশন থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়। তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করা যায় না।
উপাত্ত কাকে বলে?
ডেটা (Data) শব্দটি ল্যাটিন শব্দ ‘Detum)’ থেকে উদ্ভূত। উপাত্ত (DATA) হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদি হতে পারে।
বিক্ষিপ্ত অবস্থায় থাকা যে কোনো বর্ণ, চিহ্ন বা সংখ্যা হলো ডেটা। ডেটা হলো প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব অবস্থা যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ডেটা কোনো কিছুর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থবহ ধারণা দিতে পারে না।
বান্ধবীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা
তথ্য এবং উপাত্ত এর পার্থক্য
১. সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে। অন্যদিকে ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ ফলাফল পাওয়া যায়, তাকে তথ্য বলে।
২. ডেটা হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পূর্বের অবস্থা। তথ্য হচ্ছে প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা।
৩. উপাত্ত সরাসরি ব্যবহার করা যায় না। অন্যদিকে তথ্য সরাসরি ব্যবহার করা যায়।
৪. উপাত্ত দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে তথ্য দ্বারা যে কোন বিষয়ে পুরোপুরি ভাবার্থ প্রকাশ পায়।
৫. উপাত্ত তথ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ডেটা প্রক্রিয়াকরণের পর তথ্যে রূপান্তরিত হয়।
৬. সব উপাত্তই তথ্য নয়। অন্যদিকে সব তথ্যই উপাত্ত হতে পারে।
৭. উপাত্ত রূপান্তরের সময় সমস্ত অপ্রাসঙ্গিক তথ্য এবং পরিসংখ্যান বাছাই করা হয়। কিন্তু তথ্য সবসময় তার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রত্যাশার জন্য সুনির্দিষ্ট।
তথ্য ও উপাত্ত (INFORMATION AND DATA) সম্পর্কে ধারণাঃ
কোন কিছু সম্পর্কে ধারণা বা জ্ঞান লাভ করতে হলে সেটির সম্পর্কিত বিভিন্ন ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলে। যেহেতু ডেটাকে যৌক্তিক পরিসজ্জায় উপস্থাপনকেই তথ্য বলা হয় সুতরাং আগে ডেটা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। আসলে ডেটা হলো তথ্যের ক্ষুদ্রতম একক যা এলোমেলো বা অগোছালো কয়েকটি অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন বা যে কোন কিছু হতে পারে। ডেটা সাধারণত কোন সুনির্দিষ্ট বা যথাযথ অর্থ প্রকাশ করে না। কিন্ত এই অগোছালো বা এলোমেলো ডেটাগুলোকে যৌক্তিক কোনো সিকোয়েন্স বা পরিসজ্জায় উপস্থাপন করলে তা একটি যথাযথ অর্থ প্রকাশ করবে যেখান থেকে কিছু সম্পর্কে জ্ঞান বা ধারণা অর্জন সম্ভব হবে। এটিকেই তথ্য বলা হয়। একটি তথ্যের দুইটি অংশ থাকতে হবে। এদের একটি হলো ডেটা, যেটি আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বৈশিষ্টাবলির মান প্রকাশ করে এবং অপরটি হলো নলেজ বা জ্ঞান যা সংশ্লিষ্ট বিষয়টি সত্যিকার কি সে সম্পর্কে একটি ধারণা প্রকাশ করে। তথ্য ও ডেটার একটি উদাহরণ দেয়া যাক।
তথ্য (INFORMATION) –
- ডেটাকে প্রক্রিয়াকরণ করে যে অর্থবহ অবস্থা পাওয়া যায় তাকে তথ্য বলে।
- তথ্য হলো প্রক্রিয়াকরণের পরের অবস্থা যা কম্পিউটারে আউটপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়
- সকল ডেটা তথ্য নয়।
- যে কোন তথ্য থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা পাওয়া যায়।
- তথ্য সম্পূর্ণভাবে ডেটার উপর নির্ভরশীল এবং ডেটা ছাড়া তথ্য প্রক্রিকরণ করা যায় না।
- কোন বিদ্যালয়ের একটি ছাত্রের নাম,রোল নম্বর,সবগুলো বিষয়ের নম্বর এবং তার ভিত্তিতে প্রাপ্ত মোট নম্বর এ সব কিছু একত্রে ছাত্রটির সুনির্দিষ্ট কোন ইনফরমেশন বা তথ্যকে নির্দেশ করে।
র দিয়ে মেয়েদের ইসলামিক নাম অর্থসহ
উপাত্ত (DATA) –
- অগোছালো অবস্থায় থাকা যে কোনো বর্ণ,চিহ্ন বা সংখ্যা এসব কিছুই হলো ডেটা।
- ডেটা হলো প্রক্রিয়াকরণের পূর্ব অবস্থা কম্পিউটারে যা ইনপুট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- সকল তথ্যই ডেটা।
- ডেটা কোনো কিছুর পূর্ণাঙ্গ বা অর্থবহ ধারণা দিতে পারে না।
- ডেটা তথ্যের উপর নির্ভর করে না।
- কোনো ছাত্রের ভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলো পৃথক পৃথকভাবে ডেটার উদাহরণ হতে পারে।
মানব জীবনে তথ্য ও উপাত্তের গুরুত্ব
আমাদের মানব জীবনে তথ্যের গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা প্রতিনিয়ত নানা ইশারা, ইঙ্গিত, আওয়াজ ইত্যাদির মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য উৎপন্ন করে থাকি। আর এই তথ্যগুলো পরস্পরের মাঝে বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা ভাবের আধান প্রদান করে থাকি। এখানে ইশারা, ইঙ্গিত ও আওয়াজ হচ্ছে উপাত্ত। এ উপাত্তগুলোর সঠিক বিন্যাসের মাধ্যমে যে অর্থবোধক কিছু তৈরি হয় তাই তথ্য। আমাদের জীবনে এই তথ্যের আদান-প্রদানের প্রয়োজনীয়তা অনেক। কখনও কখনও তথ্যকে অনেক দূরবর্তী স্থানেও প্রেরণের প্রয়োজন হয়। আর এই কাজটিই তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির কারণে অনেক সহজ হয়ে গেছে। এখন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা তথ্য প্রযুক্তি কি? এটি ভালভাবে বুঝতে হবে।
তথ্য কাকে বলে গণিত,
যোগাযোগ কাকে বলে,
পরিসংখ্যানে তথ্য কাকে বলে,
ইনফরমেশন কাকে বলে,