তায়াম্মুমের ফরজ কয়টি
তায়াম্মুমের ফরয
পবিত্রতার নিয়ত করা
সমস্ত মুখ একবার মাসাহ করা
দুই হাতের কনুইসহ মাসাহ করা
এটা পড়ুন: গোসলের ফরজ কয়টি ও কী কী বিস্তারিত !
তায়াম্মুমের ফরয ৩টি
- পাক হওয়ার নিয়ত করা (নামাজ পড়া বা কোরআন তিলাওয়াতের জন্য পবিত্রতা অর্জনের নিয়্যত করা)।
- দুই হাত একবার মাটিতে রেখে/মেরে তা দিয়ে মুখমন্ডল মাসেহ করা।
- দুই হাত আবার মাটিতে রেখে/মেরে দুই হাতের কনুই মাসেহ করা।
তায়াম্মুমের সুন্নত
- বিসমিল্লাহ বলা
- প্রথমে দুই হাত পরে দুই হাত কনুই মাসেহ করা।
- মাটিতে হাতের তালু মারা পিঠের দিক নয়।
- মাটিতে হাত মারার পর মাটি ঝেড়ে ফেলা।
- দুই হাতের আংগুল প্রসারিত করে মাটিতে মারা যাতে হাতে ধুলা লাগে।
- অন্তত তিন আংগুল দিয়ে চেহারা ও হাত মাসেহ করা।
- প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত মাসেহ করা।
- চেহারা মাসেহ করার পর দাড়ি খেলাল করা।
যা কিছু দ্বারা তাইয়াম্মুম সঠিক হবে
- মাটি
- বালি
- বিভিন্ন ধরনের পাথর, যেমন কালো পাথর, মারমার (মার্বেল) পাথর, চুনা পাথর ইত্যাদি।
- মাটি জাতীয় সব জিনিসের উপর তায়াম্মুম করা যেতে পারে, যেমন পোড়া কাদা মাটি- ইট ও কলস।
কখন তায়াম্মুম করা জায়েজ আছে?
- যদি পানি পাওয়া না যায়।
- পানি যদি এক ক্রোশ দূরে থাকে (এক ক্রোশ হলো, চার হাজার কদম।)
- পাওয়া গেলেও নাগালের বাইরে।
- পানি ব্যবহারে ভীষণ ক্ষতির আশংকা।
- (সুস্থ ব্যক্তি) অসুস্থ হয়ে পড়ার বা (রুগ্ন ব্যক্তির) রোগ নিরাময়ে বিলম্ব হওয়ার কিংবা রোগ বেড়ে যাওয়ার আশংকা থাকলে।
- শত্রু, হিংস্র প্রাণীর ভয় বা পিপাসার ভয় থাকে কিংবা বালতি বা রশি পাওয়া না যায়।
- যে সব নামাজের কাজা নেই (যেমন জানাযা ও ঈদের নামাজ ইত্যাদি) তা ওজু করে না পাওয়ার আশংকা থাকলে।