ভিশন সিলিং ফ্যানের দাম
তবে গরম থেকে খানিকটা হলেও প্রশান্তি পেতে খুলনাবাসী ভিড় করছেন ফ্যানের দোকানে। ফলে বিক্রি বেড়েছে ফ্যানের। সঙ্গে কম বেশি বেড়েছে ফ্যানের দাম।
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানগুলোতে সিলিং, টেবিল, স্ট্যান্ড ও চার্জার এ চার ধরনের ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। তবে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি বলে জানিয়েছেন দোকানদাররা।
ফ্যান ছাড়াও গরমের প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির ফ্রিজের দোকানেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। এসবের মধ্যে দেশীয় ওয়ালটন, সিঙ্গার, স্যামসাং, র্যাংগস, হিটাচি, মাইওয়ানের চাহিদা বেশি।
ব্রিক্রেতারা জানান, হঠাৎ গরমে বেড়েছে শীতল যন্ত্রের বিক্রি। এয়ার কন্ডিশন (এসি), রেফ্রিজারেটর ও ফ্যান কিনতে শো রুমগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। একই সঙ্গে আইপিএসের কদর বেড়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা থেকে ডাকবাংলোর মোড়ে ফ্যান কিনতে আসা মো. হাসান জানান, গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে লোডশেডিং। গরমে স্বস্তিতে থাকতে তাই এখন চার্জার ফ্যানের প্রয়োজন। এ কারণে ফ্যান কিনতে আসা।
বেশি চাহিদা সিলিং ফ্যানের
গুলশান শপিং সেন্টারের নিচতলায় ফ্যান বিক্রিতে ব্যস্ত আশরাফ আলী পারভেজ। তিনি জানালেন, সিলিং ফ্যানই বেশি চলছে। তাঁদের দোকানে অনেক ব্র্যান্ডেরই ফ্যান রয়েছে। দাম কেমন? জানতে চাইলে যেন মুখস্থ পড়া বললেন, ‘বিআরবির অ্যালুমিনিয়াম ৫৬ ইঞ্চি দুই হাজার ৫০০, প্যারাডাইস দুই হাজার ৯০০, সুপারস্টার দুই হাজার ৭৫০, ক্লিক দুই হাজার ৮০০, পাকিস্তানি পাক ফ্যান তিন মডেলের তিন দামের তিন হাজার ৮০০, চার হাজার ৩০০ আর চার হাজার ৬০০ টাকা, ভারতীয় খইতান চার হাজার, বেশিও আছে। ’
একটু দম নিয়ে বললেন অন্যান্য ব্র্যান্ডের নাম আর দাম। জানালেন প্রাণ-আরএফএলের ভিশনের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে মডেলভেদে দুই হাজার ৫০০, দুই হাজার ৬০০ ও দুই হাজার ৭০০ টাকায়। ন্যাশনাল ফ্যানের দুটি মডেল আছে। একটি দুই হাজার ৪৫০, আরেকটি দুই হাজার ৮০০ টাকা। তুফান নামের সিলিং ফ্যান বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার ৭০০ টাকার মধ্যে।
স্ট্যান্ড ফ্যান
সিলিংয়ের মতো না হলেও স্ট্যান্ড ফ্যানের চাহিদা একেবারে কম বলা যাবে না। এই ফ্যানের দামও সিলিং ফ্যানের কাছাকাছি। সুপারস্টারের প্যাডেল স্টার দুই হাজার ৮০০, প্যাডেল স্টার রিমোর্টসহ তিন হাজার ২০০ থেকে তিন হাজার ৫০০, সুপারস্টার সাধারণ স্ট্যান্ড তিন হাজার ৫০০ ও চার হাজার ৩০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাক স্ট্যান্ড ফ্যান চার হাজার থেকে ছয় হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এশিয়া তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে। হ্যাভেলস সাড়ে তিন হাজার থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
ভিক্টর-থ্রি লেগের দাম ছয় হাজার থেকে শুরু করে সাত হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। ডিফেন্ডারের দাম দেড় হাজার থেকে এক হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে।
ওয়ালটন সিলিং ফ্যানের দাম 2022
টেবিল ফ্যান
একসময়কার জনপ্রিয় টেবিল ফ্যান ব্র্যান্ড এভারনালের কয়েকটি মডেল এখনো পাওয়া যায়। দাম দুই হাজার টাকার ওপরে। সুপারস্টারের টেবিল ফ্যানের দামও একই রকম। পাক টেবিল ফ্যানের দাম একটু বেশি—তিন হাজার টাকার ওপরে।
সুপারমুন ব্র্যান্ডের টেবিল ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে দেড় হাজার থেকে শুরু করে আড়াই হাজারের মধ্যে। ভিশনের কয়েকটি মডেলের টেবিল ফ্যান রয়েছে যেগুলোর দাম এক হাজার ৭০০, এক হাজার ৯০০ ও দুই হাজার ৩০০ টাকা।
স্থানীয় বাজারে নির্মিত কম নামি অনেক ব্র্যান্ডের টেবিল ফ্যানও রয়েছে। এগুলোর দাম বেশ কম—এক হাজার টাকা থেকে শুরু।
রিচার্জেবল ফ্যান
গরম বাড়লে লোডশেডিংও বাড়ে। এ সময় সিলিং ফ্যান বা টেবিল ফ্যান থেকে কোনো লাভ নেই। তাই অনেকের ভরসা এখন রিচার্জেবল ফ্যান। মানভেদে এসব ফ্যানের দামে পার্থক্য রয়েছে।
এশিয়া ব্র্যান্ডের দাম হাজার টাকা থেকে শুরু। আছে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। সুপারমুনের দাম ৯০০ থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। সুপারস্টারের এক হাজার ৮০০ টাকা, ডিলাক্সের দেড় হাজার টাকা, ভিশনের চার্জার ফ্যানের দাম দুই হাজার ৫০০ টাকা। লাভা ব্র্যান্ডের ফ্যানের দাম এক হাজার ৬০০ টাকা, সানকা রিচার্জেবল ফ্যান চার হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
চলছে এয়ারকুলারও
গরম বেশি পড়লে সাধারণ ফ্যানে কাজ হতে চায় না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে এয়ারকন্ডিশনের বিকল্প হিসেবে এয়ারকুলার ব্যবহার করেন।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এয়ারকুলার রয়েছে। ফ্যানের মতো এগুলোর দামও নির্ধারিত করা ব্র্যান্ড ও মডেলভেদে।
দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের বেশ কয়েক মডেলের এয়ারকুলার রয়েছে। ডাব্লিউইএ-এস১০০ মডেল ১৪ হাজার, ডাব্লিউআরএ-এস৯৯ মডেল ১২ হাজার ৯০০ এবং ডাব্লিউআরএ ১১৮১ মডেলের দাম সাত হাজার ৯০০ টাকা।
সিঙ্গার শোরুমে ভিডিওকনের এয়ারকুলার ছাড় দিয়ে বিক্রি হচ্ছে সাত হাজার ১০০ টাকায়। ভিডিওকনের আরেকটি মডেলের দাম আট হাজার ৮৮৫ টাকা। পাশাপাশি সিম্ফনির তিনটি মডেল বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার ৯০০, আট হাজার ৭৫০ ও আট হাজার টাকায়।