ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
আমি ও ভাল আছি। প্রতিবারের মত আমি আপনাদের সাথে নতুন একটা আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আমি আমাদের এই আর্টিকেলের ভিতরে আপনাদের সাথে ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ড কি? এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি আছে? কোথায় ও কিভাবে কার্ড গুলো পাবেন? এই সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে সকল তথ্য শেয়ার করব।
আপনারা যদি ভিসা কার্ড ও মাস্টার কার্ড এর সুবিধা ও অসুবিধা এরপরে এই কার্ডগুলো আপনারা কোথায় পাবেন সেই সম্পর্কে A TO Z সকল তথ্য জানতে চান তাহলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। তাহলে আশা করি যে, আপনারা আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আশা করি যে, এতক্ষণে আপনারা বুজে গিয়েছেন যে, আমাদের এই আর্টিকেলের ভিতরে বা আজকের এই লেখার ভিতরে কি নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে আসুন আর কথা না বারিয়ে শুরু করা যাক।
ভিসা কার্ড কি ?
আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সকল কার্ডগুলোকে ব্যাবহার করি তার ভিতরে অন্যতম একটি কার্ড হচ্ছে Visa Card.
বর্তমানে এখন আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে শুরু করে, রাতে বিছানায় ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত । কোন না কোন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে থাকি। যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে আমরা দাত ব্রাশ করি এরপরে খবরের কাগজ আগে যেখানে অনেক মানুষেরা পড়ত, কিন্তু এখন প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ঘরে বসেই একটা Computer , Laptop কিংবা আমাদের হাতে থাকা ছোট Smartphone টি দিয়েই কিন্তু দেশ বিদেশের সকল তথ্যই ঘরে বসেই জানতে পারি।
আকাশ ডিস কত টাকা ২০২২
তারপরে আমরা সকালের নাস্তা করে অফিসে যাই ,সেখানেও কিন্তু আমরা প্রযুক্তি ব্যাবহার করি সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময়ে কিন্তু আমরা লিফট দিয়ে অফিসে যাই। তারপরে অফিসে গিয়ে Computer দিয়ে সকল ধরনের কাজগুলো করি। AC এর নিচে বসেই কিন্তু আমরা সকল কাজ করি অফিসে । এরপরে অফিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর যখন বাসায় যাই রাতে তখন দেখা যায় যে , সারাদিনের ক্লান্তি ধুর করার জন্য টিভি দেখি আর এটাও কিন্তু একটা প্রযুক্তি। উপরের উদাহরণ থেকে ভাল ভাবেই বুজা যাচ্ছে যে , আমরা সারাটা দিনই প্রযুক্তির সাথে থাকি।
আর সেই প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগে গিয়েছে আমাদের দেশের ব্যাংকগুলোতেও। ব্যাংকে যারা কাজ করে তাদের থেকে শুরু করে গ্রাহক পর্যন্ত কিন্ত এই প্রযুক্তির ব্যাবহার করে। টাকা লেনদেন করটা বর্তমানে এখন এতটাই সহজ করে দিয়েছে যে সেটা একদম বলার বাহিরে।
আপনাদের ভিতরে অনেকে আছেন যারা এটিএম কার্ড কিংবা Dabit Card , Credit Card এর কথা শুনে থাকবেন। কিন্তু এই সমস্ত কার্ডের থেকে সব থেকে ভাল হচ্ছে Visa Card । আর সে জন্যই সারা দেশের ভিতরে ১২০ টি দেশেই এই ভিসা কার্ড ব্যাবহার করা হয়ে থাকে।
বর্তমান সময়ে এখন কিন্তু নগদ টাকা সাথে নিয়ে চলাফেরা করা অনেকটা কষ্টকর একটা ব্যাপার। কখন যে পকেটমার কিংবা ছিনতাইকারী আপনাদের কাছ থেকে Money Bag নিয়ে চলে যাবে তা বলা যায় না। আর এখন তো অনেক ছিনতাইকারী আছে যারা Bike এ করে আসে আর হাতে ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে চলে যায়। খবরের কাগজে এইরকমের নিউজ দেখা যায় তারপরে টিবিতেও এরকমের অনেক নিউজ আপনারা অনেক সময়তেই দেখে থাকেন। আর তাই সেজন্য আপনাদের টাকা নিরাপদ রাখার জন্য কিন্তু এই সমস্ত কার্ডগুলো নিয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে প্রত্যেকটা মানুষ আস্থা রাখছে।
আমাদের বাংলাদেশের ভিতরে অনন্যা যে সকল কার্ড আছে সেগুলো ব্যাবহার করলে অনেক সময়ে দেখা যায় যে , যখন লেনদেন করার দরকার পরে তখন সেই সময়ে Netword থাকে না বা এই রকমের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কিন্তু Visa Card হচ্ছে এমন একটি কার্ড যেটাকে আপনারা যেকোনো সময়ে যেকোনো মুহূর্তে টাকা লেনদেন করার সময়ে অ্যাক্সেস পেয়ে যাবেন খুব সহজেই। আর এই সুবিধার কারনে এখন কিন্তু অনেকেই Visa Card বেশি পরিমানে Use করতেছে অন্য সকল কার্ডের থেকে।
ভিসা কার্ড হল একটি স্বীকৃত Paymant প্রসেসিং Network । সারা বিশ্বের ভিতরে ২০০ দেশের অনেকগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভিসার কার্ডের মাধ্যমেই পেমেন্ট নিয়ে থাকে। ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক , উভয় ক্ষেত্রেই আপনাদের ব্যবহার করার জন্য ভিসা কার্ড নিতে পারবেন।
গ্রাহকদের সুবিধার কথা চিন্তা করেই কিন্তু আসলে Visa Card 5 ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো নিচে দেওয়া হল দেখে নিন এক নজরেই।
· ভিসা ক্লাসিক কার্ড।
· ভিসা সোনার কার্ড।
· ভিসা প্লাটিনাম কার্ড।
· ভিসা স্বাক্ষর কার্ড।
· ভিসা অসীম কার্ড।
আপনারা আপনাদের নিজেদের আর্থিক অবস্থা যেরকমের সেই অনুযায়ী আপনাদের সুবিধা মত বেছে নিতে পারেন আপনাদের Visa Card।
ভিসা কার্ড করার নিয়ম
Visa Card করতে হলে আপনাদেরকে যে যে কাজগুলো করতে হবে সেগুলো নিচে দেওয়া হল –
· সবার আগে আপনাদেরকে Visa Card সুবিধা প্রদান করে এইরকমের যে কোন একটি ব্যাংকের কাছে যাওয়া লাগবে।
· সেই ব্যাংকে যাওয়ার পরে এই কাজে যে নিয়োজিত আছে আপনাদেরকে সেই এজেন্ট এর কাছে গিয়ে আপনাদেরকে আপনার একাউন্ট করা লাগবে । মূলত ভিসা কার্ড যদি নিতে চান তাহলে আপনাদের ১টি একাউন্ট থাকা লাগবে।
ব্যাংক একাউন্ট করার জন্য আপনাদের যে জিনিসগুলো দরকার হবে , সেগুলো নিচে দেওয়া হল –
· NID Card এর Photocopy দিতে হবে।
· 02 Copy Passport Size এর ছবি দেওয়া লাগবে।
· আগে থেকে যদি কোন ব্যাংকে একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে সেটার দরকারি কাগজগুলো জমা দিতে হবে।
· নমিনির ID Card & Photo Copy জমা দিতে হবে।
সব ধরনের দরকারি কাগজ আপনাদেরকে ব্যাংকে গিয়ে এই কাজে নিয়োজিত এজেন্টে এর কাছে দেওয়া লাগবে। আপনাদের Account করা হয়ে যাওয়ার পরে আপনাদেরকে ১টি Card দিবে। ভিসা কার্ড পাওয়ার যোগ্যতা
মূলত আপনারা নিজেদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী আপনাদের জন্য Banক এ একটি হিসাব খুলে নিবেন। কিন্তু আপনারা যদি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে সঙ্গে কার্ড নিতে চান তাহলে কিন্তু আপনাদের কাছ থেকে ব্যাংক ভেদে ৩০০ টাকার থেকে কম কিংবা বেশি অতিরিক্ত পরিমানে চার্জ কেটে নিতে পারে।
ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম
আপনাদের যদি Emergency টাকার দরকার হয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনারা চাইলে আপনাদের ভিসা কার্ড থেকে বিকাশ এর ভিতরে টাকা আনতে পারবেন খুব সহজেই ঘরে বসেই। ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা আনার নিয়ম নিচে দেওয়া হল –
রিয়েলমির সবচেয়ে কম দামি ফোন কোনটা
· বিকাশ এর ভিতরে যদি আপনারা ভিসা কার্ড থেকে টাকা আনতে চান তাহলে সবার আগে আপনাদেরকে Bkash Apps লাগবে। আপনাদের সকলের সুবিধার কথা চিন্তা করেই কিন্তু আমি নিচে আপনাদেরকে Apps এর Link Add করে দিচ্ছি, সেখানে চাপ দিলেই করলেই আপনারা সরাসরি আপনাদের ফোনের ভিতরে install করে নিতে পারবেন
ভিসা কার্ড থেকে মোবাইল রিচার্জ
ভিসা কার্ডের অনেক রকমের সুবিধা থাকার কারনেই কিন্তু অনেকে এখন ভিসা কার্ড বেশি Use করা থাকেন। আপনারা ইচ্ছা করলে কিন্তু ভিসা কার্ড দিয়ে কোন কিছু কেনাকাটা হতে শুরু করে মোবাইল Recharge ও করতে পারবেন অনায়াসে।
আর তার জন্য কিন্তু আপনাদেরকে নিচের দেওয়া নিয়মগুলোকে Follow করা লাগবে । Visa Card এর গ্রাহকেরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ও কিন্তু বিকাশের সাহায্যেই অনেক সহজেই রিচার্জ করতে পারবে তাদের মোবাইল দিয়ে। ভিসা ডেবিট কার্ড এর সুবিধা
Visa Card দিয়ে যদি আপনারা মোবাইল ফোনে Recharge করতে চান তাহলে আপনাদেরকে সবার প্রথমের অ্যাড Money করা লাগবে । আর একটা কথা মনে রাখবেন যে , Bkash Apps দিয়ে কিন্তু আপনারা ১ দিনে সর্বোচ্চ ৫ বার Add Money করতে পারবেন খুব সহজেই। আপনারা কিন্তু সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ভিসা কার্ড হতে Add Money করে আনতে পারবেন।
বিকাশে কিভাবে ভিসা কার্ড থেকে টাকা আনবেন সেটা আমি উপরে আপনাদের সাথে বিস্তারিতভাবে A TO Z আলোচনা করেছি। উপরের দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের ভিসা কার্ড থেকে বিকাশে টাকা তারপরে যত খুশি তত টাকা আপনাদের সিমে Recharge করতে পারবেন । আপনাদের নিজের নাম্বার থেকে শুরু করে আপনাদের পরিবারের যে কারো নাম্বারেই টাকা Recharge করে দিতে পারবেন।
মাস্টার কার্ড কি?
সারা বিশ্বের ভিতরে যেকোনো জায়গাতেই প্রচলিত আছে এই জনপ্রিয় কার্ডটি আছে সেটা হল Master Card. আপনারা কিন্তু যেকোনো ব্যাংক থেকে নেওয়া ডেবিট কার্ড কিংবা ক্রেডিট কার্ড শুধু আপনারা যে দেশে থাকেন সেই দেশেই ব্যবহার করার পারমিশন পারবেন।
কিন্ত এই দিক থেকে মাস্টার কার্ড অনেক এগিয়ে কারন এইটা হল ১ ধরনের আন্তর্জাতিক Card যেটা কিন্তু আপনারা সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে থেকেই ঘরে বসেই অনেক সহজেই ইউজ করতে পারবেন কোন ধরনের ঝামেলা বাদেই। ইন্টারন্যাশনাল ভিসা কার্ড
Master Card বলতে গেলে অনেকটাই ডেবিট কার্ড কিংবা Credit Card এর মতো দেখতে হলে ও এদের ভিতরে আছে বেশ ভিন্নতা। Master Card এর মাধ্যমে আপনারা কিন্ত চাইলেই সারা বিশ্বের যে কোনো দেশে আপনাদের কাঙ্খিত Paymant Clear করে দিতে পারবেন। তবে এখানে ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিন্তু আপনারা আমাদের বাংলাদেশ এর বাহিরে পেমেন্ট দিতে পারবেন না কখনই , এই বিষয়টা মনে রাখবেন। আর এই জন্যই কিন্তু আসলে মাস্টার কার্ড সারা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ১টি জনপ্রিয় কার্ড বলা যায়।
মাস্টার কার্ড এর সুবিধা:
Master Card গ্রাহক যারা আছেন তাদের কাছে লেনদে করার জন্য অনেক রকমের সুবিধা নিয়ে সব সময়ে Ready থাকে। কিন্তু আপনারা কি এই বিষয়টা জানেন যে ঠিক কোন ধরণের সুবিধা বিদ্যমান আছে Master Card এর ভিতরে। যদি না জেনে থাকেন তাহলে আসুন চলুন জেনে নেই মাস্টার কার্ডের সুবিধাগুলো সম্পর্কে –
· Master Card হচ্ছে একটা international Card । যেটার গন্ডি শুধু আমাদের দেশের ভিতরেই সীমাবদ্ধ না। আপনারা চাইলে বিশ্বের যে কোনো দেশের সাথে লেনদেন করার জন্যই ইউজ করতে পারবেন খুব সহজেই এই কার্ড।
· মাস্টার কার্ড ১টি ডুয়েল কারেন্সি কার্ড। মূলত ২ দেশ এর কারেন্সি আপনারা এই Card দিয়ে ইউজ করতে পারবেন।
· আপনারা যদি আমাদের বাংলাদেশে বসেই বাইরের দেশের কোন E Commerce Website হতে প্রোডাক্ট কিনতে চান তাহলে সেটা কিন্তু আপনারা খুব সহজেই মাস্টার কার্ডের মাধ্যমে সম্পন্ন করে নিতে পারবেন ।
· সারা বিশ্বের ভিতরে যেকোনো প্রতিষ্ঠানেই কিন্তু আপনারা Paymant করতে পারবেন এই master card use করেই ।
· নির্দিষ্ট পরিমানে পেমেন্ট এর উপরে আবার অনেক রকমের ডিসকাউন্টের ব্যবস্থা থাকবে আপনাদের জন্য।
মাস্টারকার্স এর বেশি সুবিধা এর কারণেই কিন্তু আসলে বলতে গেলে আজকাল অনেকেই আছেন যারা মাস্টার কার্ড সুবিধা নিতে চায়। Master Card সুবিধা গ্রহণ যদি করেন তাহলে আপনাদেরকে কিন্তু আগে জানা লাগবে যে মাস্টার কার্ড করার নিয়ম কি এই সম্পর্কে।তাহলে আসুন সেগুলো নিচে আমরা জেনে নেই।
মাস্টার কার্ড করার নিয়ম
Master Card হচ্ছে ১টি ইন্টারন্যাশনাল কার্ড। আমাদের দেশের এর পরে দেশের বাহিরে বলতে গেলে সারা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত ১টি কার্ড হচ্ছে এই মাস্টারকার্ড। বাংলাদেশের ভিতরে আসলে প্রায় সকল ধরনের ব্যাংক তারা তাদের গ্রাহক যারা আছেন তাদেরকে এই মাস্টারকার্ড সুবিধা সেবা প্রদান করেন।
বলতে গেলে আসলে প্রায় সব ব্যাংকেই এখন এই Master Card প্রদান করার নিয়মসমূহ এক হওয়ার কারণে আপনারা নিচের দেওয়া নিয়মগুলোকে ফলো করলেই পেয়ে যাবেন আপনাদের পছন্দেরীই মাস্টার কার্ডটি।
Mastercard এর সুবিধা যদি নিতে চান তাহলে সবার আগে আপনাদেরকে master card করা নিয়ম জানা লাগবে তাহলেই তো এই সুবিধাগুলো নিতে পারবেন। আসুন জেনে নেই মাস্টার কার্ড করার নিয়ম কানুন গুলো সম্পর্কে সকল ধরনের তথ্য –
মাস্টারকার্ড সুবিধা যদি নিতে চান তাহলে সবার আগে যে জিনিসটা দরকার সেটা হচ্ছে আপনাদের কাছে ১ টা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা লাগবে।
একাউন্ট খুলতে হলে আপনাদের যে সকল জিনিসগুলো দরকার হবে তা নিচে দিয়ে দিলাম দেখে নিন একবার