কিভাবে একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন প্রফেশনাল ভাবে how to create a youtube channel

Rate this post

Table of Contents

কিভাবে একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন প্রফেশনাল ভাবে how to create a youtube channel

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২১: Youtube নামটির সাথে অপরিচিত এমন মানুষ পাওয়াটা খুবই কঠিন। বর্তমানে আমরা সবাই কোন না কোন ভাবে Youtube এর সাথে জড়িত আছি।

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক সমস্যার সমাধান আমরা পাচ্ছি Youtube এর মাধ্যমে। আমরা অনেকেই Youtube এ নিজেদের কন্টেন্ট ও শেয়ার করছি। কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য আমাদের দরকার একটি ইউটিউব চ্যানেল।

কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হয়। এখন হয়ত অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে কেন প্রোফেশনাল ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে? তার উত্তর জানার আগে চলুন সামান্য করে জেনে নিই Youtube সম্পর্কে।

ইউটিউব কি?

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুল ব্যবহৃত ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। এটি ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারির ১৪ তারিখ গঠিত হয়। বর্তমানে প্রায় ২ বিলিয়ন ইউজার রয়েছে ইউটিউবে।

এটিকে গুগোলের পরে দ্বিতীয় জনপ্রিয় সার্চ ইন্জিনও বলা হয়। এটি গুগোলেরই একটি অঙ্গসংগঠন। ইউটিউব এ বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখিয়ে Youtube কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ১৩০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেন।

যা বাংলাদেশী টাকায় ১০ কোটি ৯২ লক্ষ টাকা (প্রায়)। এবং এই টাকার ৫০% তারা দেয় ইউটিউব কন্টেন্ট ক্রিয়েটরসদের।

জুম অ্যাপ খোলার নিয়ম

তাহলে বুঝতেই পারছেন এত কোটি মানুষ এবং এত কোটি টাকার একটি প্ল্যালফর্মে প্রফেশনালিটি ছাড়া আপনার টিকে থাকা অসম্ভব। একটু খেয়াল করলেই দেখব সবাইতো ইউটিউব চ্যানেল খুলে প্রায় ৩৮ মিলিয়ন চ্যানেল রয়েছে Youtube এ কিন্তু সবাই কেন আয় করতে পারেনা।

তার একমাত্র উত্তর হলো তাদের কোন ধারনা নেই কিভাবে একটি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল খুলবেন তা নিয়ে। ৩৮ মিলিয়ন চ্যানেলের মধ্যে কয়েকটি চ্যানেলই সফল হয় এবং তারা সবাই প্রোফেশনাল।

তাই ইউটিউবে সফল হতে চাইলে অবশ্যই প্রোফেশনাল ভাবে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।

চলুন জেনে নিই একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সহ একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগবে।

ইউটিউব চ্যানেল কি?

ইউটিউব চ্যানেল হল এমন একটি জায়গা যেখানে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা (ইউটিউব চ্যানেল এর মালিক) ভিডিও আপলোড করতে পারে। এবং ভিউয়াররা সেই ভিডিওগুলি দেখতে পারে।

আমরা ইউটিউবে যে ভিডিওগুলি দেখি তার সবই কোন কোন ইউটিউব চ্যানেল চ্যানেল থেকে আপলোড করা। যারা ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে তাদের কে ইউটিউব কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলে

প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে?

মোবাইল বা পিসি
একটি সম্পূর্ণ ভেরিফাইড জিমেইল একাউন্ট
ইউটিউব এপ
ইন্টারনেট সংযোগ।
অনেকেরই ধারণা ইউটিউব চ্যানেল খুলতে বা ভিডিও বানাতে কম্পিউটার প্রয়োজন। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আপনি প্রোফেশনাল মানের চ্যানেল এবং ভিডিও বানাতে পারেন আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোনটির মাধ্যমে।

আমরা পিসি এবং মোবাইল দুটিতেই প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খোলা দেখাবো। কিন্তু তার জন্য আমাদের দরকার একটি ভেরিফাইড জিমেইল একাউন্ট।

Warning

১) আপনার একাউন্টে আপনার বয়স ১৮ বছরের বেশি দিতে হবে। ১৮ বছরের কম দিলে Adsence পেতে সমস্যা হতে পারে। তাই ১৮ বছর হিসাব করে Date of birth দিতে হবে।

২) পাসওয়ার্ড অবশ্যই অনেক কঠিন দিতে হবে। সংখ্যা, প্রতীক, বড় ও ছোট হাতের অক্ষর মিলিয়ে দিতে হবে।

৩) আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করবেন অবশ্যই।

কিভাবে একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন

একটি ইউটিউব চ্যানেল প্রফেশনাল হওয়ার কিছু শর্ত থাকে সেগুলো হলো :-

১) প্রফেশনাল ভাবে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হবে।

২) ইউটিউব চ্যানেল অপটিমাইস করতে হবে।

৩) ভিডিও হতে হবে প্রোফেশনাল মানের।

চলুন এবার এই তিনটি বিষয় নিয়ে বিস্তরিত ভাবে জানি।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম :-
ইউটিউব চ্যানেল দুই প্রকারের :-

১) Personal Youtube channel.

২) Brand Youtube channel.

আমরা যারা ফেইসবুক ব্যবহার করি তারা হয়ত জানি আমরা একটি আইডি খুলেই ফেইসবুকের সব কাজ করতে পারি। কিন্তু যারা ফেইসবুকে প্রফেশনাল কোন কাজ করে তারা ফেইসবুক পেইজ ইউস করে তাদের কাজ করেন। ঠিক তেমনই যারা ইউটিউবে প্রফেশনাল ভাবে কাজ করে তাদের দরকার Brand Youtube channel.

Brand youtube channel সাধারণত ইউটিউব এর মোবাইল এপ দিয়ে খোলা যায় না। আপনি যদি মোবাইলে Brand Youtube channel খুলতে চান তাহলে ক্রোম ব্রাউজার থেকে ডেস্কটপ মোড অন করে Youtube.com website এ যেতে হবে এবং তারপর থেকে এই নিয়ম গুলো অনুসরণ করুণ।

ইউটিউব কি? ইউটিউবের মালিক কে?

ইউটিউব হলো একটি আমেরিকান অনলাইন-ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। তিনজন প্রাক্তন পেপাল কর্মচারী – চেড হার্লি, স্টিভ চেন ও বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাওয়েদ করিম মিলে ২০০৫ সালে ইউটিউব তৈরী করেন।

ডেটিং সার্ভিস হিসেবে শুরু করলেও পরবর্তীতে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম এ রূপ নেয় ইউটিউব। ইউটিউব এর জনপ্রিয়তা ও ভিডিও শেয়ারিং এর জনপ্রিয়তা বাড়তে দেখে ২০০৬ সালের নভেম্বর মাসে ১.৬৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ইউটিউবকে কিনে নেয় গুগল।

ইউটিউব চ্যানেল কি?

ইউটিউবে যদি আপনি ভিডিও আপলোড করতে চান তাহলে সেখানে আপনার একটি একাউন্ট খুলে প্রোফাইল তৈরি করতে হবে। ফেসবুকে যেমন আপনার একটি প্রোফাইল আছে, কিছুটা সেরকম। ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করার জন্য যে প্রোফাইল তৈরি করা হয় সেগুলোকেই ইউটিউব চ্যানেল বলা হয়।

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে

ইউটিউব চ্যানেল খুলতে কি কি লাগে – এই প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত সহজ। আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে খুব সহজেই কয়েক ধাপেই খুলতে পারবেন ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব চ্যানেল খুলতে একটি জিমেইল বা গুগল একাউন্ট লাগে।

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পর চ্যানেল ভেরিফাই করে আরো ফিচার পেতে গেলে ফোন নাম্বার ব্যবহার করতে হয়। সেক্ষেত্রে বলা যায় ইউটিউব খুলতে লাগেঃ

ইন্টারনেট সংযোগ
জিমেইল অর্থাৎ গুগল একাউন্ট
মোবাইল নাম্বার

ইউটিউব একাউন্ট এর প্রকারভেদ

ইউটিউব একাউন্ট দুই প্রকার, একটি পারসোনাল চ্যানেল ও অন্যটি ব্র্যান্ড চ্যানেল। পারসোনাল চ্যানেল হলো সেসব চ্যানেল যেগুলো বেশিরভাগ সময়ে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অন্যদিকে ব্রান্ড চ্যানেল মূলত কোনো প্রতিষ্ঠান বা টিম এর অধীনে থাকে। যার ফলে পারসোনাল চ্যানেল এর চেয়ে ব্র্যান্ড চ্যানেলগুলো দেখতে বেশি প্রফেশনাল হয়ে থাকে।

ধরুন, আপনার চ্যানেলে আপনি আপনার পোষা বিড়ালের ভিডিও পোস্ট করলেন, তাহলে সেটি আপনার পারসোনাল চ্যানেল। অন্যদিকে যে চানেল বিড়ালের খাবার ও সেই সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয় ভিডিও এর মাধ্যমে বিক্রির লক্ষে চ্যানেলে প্রদর্শন করে, তারা হলো ব্র্যান্ড একাউন্ট।

তবে আপনি যে ধরনের ইউটিউব চ্যানেলই খুলুন না কেনো, দিনশেষে উভয় ইউটিউব একাউন্ট এর কার্যক্রম কিন্তু অন্য সব ইউটিউব চ্যানেলের মতো একই। ভিডিও পোস্ট করাই মূলত ইউটিউব চ্যানেল তৈরির মূল উদ্দেশ্য।

মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মোবাইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

আপনার ফোনে যদি ইউটিউব অ্যাপ ও জিমেইল একাউন্ট থাকে আর ওই জিমেইল একাউন্টে ইতিমধ্যে ইউটিউব চ্যানেল খোলা না থাকে, সেক্ষেত্রে মোবাইল থেকে ইউটিউব চ্যানেল খোলা অত্যন্ত সহজ। মোবাইল থেকে ইউটিউব চ্যানেল খুলতেঃ

প্রথমে ইউটিউব অ্যাপ ডাউনলোড করুন
ইউটিউব অ্যাপে প্রবেশ করুন
টপ মেন্যু এর টপ রাইট কর্নার থেকে আপনার প্রোফাইল পিকচার ক্লিক করুন

YouTube চ্যানেল কি?

ইউটউব হচ্ছে এমন প্লাটফর্ম যেখানে সারা বিশ্বে প্রত্যেকদিন ৫০০ কোটির বেশী ভিডিও দেখা হয়।প্রত্যেক মিনিটে প্রায় ৩০০ ঘন্টার ভিডিও আপলোড হয় এই প্লাটফর্মে।

এই বৃহৎ পরিমান ভিডিও আমার-আপনার মতো সাধারণ লোকেরা আপলোড করেছেন।এবং তারা লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা আয় করছেন সেখান থেকে।

ইউটিউব হচ্ছে গুগলের একটা প্রোডাক্ট সার্ভিস যেমন গুগল ম্যাপস,জিমেইল,গুগল ড্রাইভ এই গুলি সব গুগলের প্রোডাক্ট। গুগল youtube কে ২০০৬ সালে কিনে নেই এবং পাবলিকের জন্য ফ্রিতে ওপেন করেদেই।

আস্তে আস্তে সাধারণ মানুষ সেখানে ভিডিও আপলোড করতে থাকে।এইভাবে ধীরে ধীরে youtube এর নাম ছড়িয়ে পড়লে content creator দেড় ফেভারিট প্লাটফর্ম হয়ে দাঁড়ায় ইউটিউব।

youtube হচ্ছে দুনিয়ার সবথেকে বড়ো ভিডিও প্লাটফর্ম।

আজ আমরা ইউটিউব থেকে নিউস,গান,কমেডী,শিক্ষা,ফ্লিম, প্রায় সব ধরণের ভিডিও দেখি।সেইসব ভিডিও কেউ না কেউ আপলোড করছে।

যেমন t-series, zeenews, এরা গান, নিউস ইত্যাদি ভিডিও আপলোড করে।এবং সেই ভিডিও আপনি/আমি দেখি তার সঙ্গে এড ও দেখছি আর তাথেকে ওরা আয় করছে।

মেন্কথা হচ্ছে ইউটিউব এ যদি ভিডিও আপলোড করতে চান তাহেল আপনার একটা একাউন্ট এর প্রয়োজন পড়বে, তবেই আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

একটা নতুন ইউটিউব চ্যানেল খুলতে হলে আপনার একটা একাউন্ট এর দরকার পড়বে।যেমন ফেসবুকে পোস্ট করতে হলে আপনার একটা প্রোফাইল প্রয়োজন পরে,সেইরকম ইউটিউব এ ভিডিও পাবলিক এরসঙ্গে শেয়ার করতে চান তাহলে একটি প্রোফাইল বা একাউন্ট থাকা বাধতামুলুক।

আশাকরি,আপনাদের ইউটউব চ্যানেল কিভাবে কাজ করে তার বেসিক ধারণা এসেছে।তাহলে চলুন এবার নিচে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম গুলো বিস্তারিত দেখেনি

কিভাবে একটি প্রফেশনাল youtube চ্যানেল খুলবেন?জেনে নিন ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম গুলো স্টেপ বাই স্টেপ:-

আমরা এবার গোড়া থেকে স্টেপ বাই স্টেপ আলোচন করবো ,যারফলে একটি চ্যানেল তৈরী করতে আপনার কোনো সমস্যা না হয়।

মাসে ৩০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

আপনি প্রত্যেকটা স্টেপ ঠিকঠাক ফলো করুন, তাহলে নিজেই কারো সাহায্য ছাড়া একটি একাউন্ট বানিয়ে ফেলবেন।

আপনাদের সুবিধার্তে স্ক্রিনশর্ট দ্বারা প্রত্যেকটা স্টেপ বুঝনোর চেষ্টা করবো।

১. গুগল এ একাউন্ট তৈরী করুন ?
ইউটউবে একটা চ্যানেল তৈরী করতে হলে আপনার একটা জিমেইল একউন্ট থাকা বাধ্যতামুলুক। আগেই বলেছি ইউটউব এবং জিমেইল হচ্ছে গুগলের প্রোডাক্ট তাই গুগলের একটি একাউন্ট থাকলে,

আপনি গুগলের সব প্রোডাক্ট বা সার্ভিসেস গুলি ব্যবহার করতে পারেন।

আশা করি আপনাদের সবার একটা গুগলের একউন্ট আছে।আরযদি না থাকে তাহলে একটা বানিয়ে নিন, Gmail এ একাউন্ট তৈরি করা খুব সহজ।

আপনার কম্পিউটার/মোবাইলে যে ব্রাউসার ব্যবহার করেন সেটা ওপেন করুন।

এবার গুগলে ওপেন করে ডান দিকে উপরে নীল রং এ sing.in লেখা আছে, সেখানে ক্লিক করুন।

একটা নতুন পেজ খুলবে আপনার gmail id থাকলে দিয়ে দিন।

একটা নতুন পেজ খুলবে সেখানে আপনার নাম,নতুন ইমেইল আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে ফর্মটি ফিলাপ করুন।

তার পর next এ ক্লিক করুন,এখানে আপনার মোবাইল নম্বর,লিঙ্গ,আর জন্ম তারিক টা দিয়েদিন,তারপর next এ ক্লিক করেদিন।

এবার আপনার মোবাইল নম্বর ভেরিফাই করার জন OTP সেন্ড করে দিন OTP গেলে ভেরিফাই করে গুগল terms & conditions একসেপ্ট করে দিন,তাহলে আপনার গুগলে একাউন্ট বা জিমেইল একাউন্ট খুলে যাবে।

 

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন
ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *