Visa Card করতে কি কি লাগে
Visa Card করতে কি কি লাগে এই পোস্টে ভিসা কার্ড কি, ভিসা কার্ডের সুবিধা ও ভিসা কার্ড কিভাবে পাবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন।
ভিসা কার্ড কি?
ভিসা হলো যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি যা বিশ্বব্যাপী আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে। কার্ডের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে টাকা তোলা ও কেনাকাটার ব্যাপারটি সহজ করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ভিসা ব্র্যান্ডেড ডেবিট, ক্রেডিট ও গিফট কার্ড (প্রভৃতি) পাওয়া যায়।
হোয়াটস অ্যাপ কিভাবে খুলে
ভিসা নেটওয়ার্ক
ভিসা মূলত মার্চেন্ট ব্যাংক ও কাস্টমার এর মধ্যে থার্ড পার্টি হিসেবে কাজ করে। কার্ড ইস্যু করা ব্যাংকের সেটেলমেন্ট নেটওয়ার্ক হিসেবেও ভিসা কাজ করে। পেমেন্ট প্রসেসিং এর জন্য ছোট অংকের অর্থ ফি হিসেবে চার্জ করে ভিসা। ভিসা নেটওয়ার্ক নামে এই পেমেন্ট নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বাড়তি অনলাইন নিরাপত্তা প্রদান করে থাকে ভিসা।
ভিসা কার্ড কোথায় ব্যবহার করা যায়
ভিসা ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড বিশ্বের ২০০টির অধিক দেশ ও অঞ্চলের অগণিত মার্চেন্ট পয়েন্টে ব্যবহার করা যায়। বিভিন্ন ধরণের পেমেন্ট ক্যাটাগরিতে ভিসা কার্ড গ্রহণ করা হয়। আমাদের দেশেও অনেক অনলাইন ও অফলাইন শপিং সেন্টার ভিসা কার্ড গ্রহণ করে থাকে।
ভিসা ক্রেডিট কার্ড এর ধরন
ভিসা ডেবিট কার্ড অন্য দশটি ডেবিট কার্ডের মতই কাজ করে। আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা থাকলে এই ডেবিট কার্ড দিয়ে সেই টাকা তুলতে বা খরচ করতে পারবেন। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ডও অফার করে ভিসা। ভিসা ক্রেডিট কার্ড এর কিছু ধরন হলোঃ
ভিসা ক্লাসিকঃ বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় এই ক্রেডিট কার্ড। প্রায় যেকোনো ধরনের শপিং, ট্রাভেলিং ও ডাইনিং ট্রানজেকশকন করা যায় এই ধরনের কার্ড দ্বারা।
ভিসা গোল্ডঃ এই ধরনের কার্ড দ্বারা অধিক ক্রেডিট লাইন অ্যাকসেস করা যায়। এই কার্ড দ্বারা ট্রাভেল, মেডিকেল ও লিগ্যাল এসিস্টেন্স পাওয়া যায়। এছাড়া বিশ্বব্যাপী ট্রাভেল, ডাইনিং ও রিটেইল পারচেজ এর ক্ষেত্রেও স্পেশাল অফার পাওয়া যায়।
ভিসা প্লাটিনামঃ এটি মূলত প্রিমিয়াম ক্রেডিট কার্ড। এই ধরণের কার্ড হোল্ডারগণ অনেক ধরণের সুবিধা ও রিওয়ার্ড পেয়ে থাকেন। এছাড়া বিভিন্ন লিডিং হোটেল, ইলেকট্রনিক রিটেইল স্টোর, মেডিকেলে স্টোর ভিসা কার্ড ব্যবহারে অফার দিয়ে থাকে।
ভিসা সিগনেচারঃ এই ধরণের কার্ডের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরণের সেবা ও সুবিধা পাওয়া যায়। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে সার্বক্ষণিক এই কার্ড ব্যবহার করা যায়। এছাড়া হোটেল, ট্রাভেল, শপিং এর ক্ষেত্রেও এই কার্ডে অফার পাওয়া যায়।
ভিসা ইনফিনিটঃ এই কার্ডটিকে ভিসা এড় এলিট কার্ড বলা চলে। এই কার্ড দ্বারা সর্বোচ্চ প্রকার অফার ও সুবিধা ব্যবহার করা সুযোগ রয়েছে ।
১৭ হাজার টাকার মধ্যে ভালো মোবাইল ২০২২
সুবিধাসমুহ
ভিসা কার্ড এর সুবিধাসমূহ এর প্যাকেজের উপর নির্ভর করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভিসা কার্ড এর প্যাকেজ ভিত্তিক সুবিধাসমূহ সম্পর্কে।
বেসিক
ভিসা কার্ড বেসিক প্যাকেজে জরুরী সহায়তা, জরুরী কার্ড রিপ্লেসমেন্ট, এক্সটেনডেড বায়িং ওয়ারেন্টি, রেন্টে নেওয়া গাড়ির সুরক্ষার মত সুবিধা পাওয়া যায়।
সিগনেচার
মিড-রেঞ্জ এর ভিসা কার্ড প্যাকেজ এর নাম হলো সিগনেচার। বেসিক প্যাকেজের সকল সুবিধার পাশাপাশি সিগনেচার প্যাকেজে অনলাইন পোর্টাল ডিসকাউন্ট, এন্টারটেইনমেন্ট, ট্রাভেল, স্পোর্টস ইভেন্ট, ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক্সক্লুসিভ সুবিধা ও অফার পাওয়া যায়।
ইনফিনিট
উল্লেখিত দুইটি প্যাকেজের সুবিধাসমূহর সাথে আরো বাড়তি সুবিধা যোগ করে ভিসা ইনফিনিট প্যাকেজ। মূলত উচ্চবিত্তদের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই ভিসা প্যাকেজটি তৈরী করা হয়েছে যা দ্বারা প্রায় কার্ড ব্যবহার করে প্রাপ্ত সকল ধরণের সুবিধা পাওয়া যায়।
ভিসা কার্ড কিভাবে পাবো?
ভিসা কার্ডের সুবিধা ও ব্যবহার সম্পর্কে তো জানলাম। এবার জানি চলুন কিভাবে ভিসা কার্ড পেতে পারেন।
বাংলাদেশে অনেক সরকারি ও বেসরকারি কমার্সিয়াল ব্যাংক নির্দিষ্ট চার্জের ভিত্তিতে গ্রাহকদের ভিসা কার্ড প্রদান করে থাকে। সিটি ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, ইত্যাদি কিছু উল্লেখ্যযোগ্য ব্যাংক, যারা গ্রাহকদের কাছে ভিসা কার্ড সরবরাহ করে থাকে। যেসব ব্যাংক ভিসা কার্ড ইস্যু করে থাকে, আপনি তাদের গ্রাহক হলে নির্দিষ্ট চার্জের বিনিময়ে উক্ত ব্যাংক থেকে ভিসা কার্ড নিতে পারবেন।
ভিসা কার্ড নিতে চাইলে প্রথমে যে ব্যাংক ভিসা কার্ড সরবরাহ করে উক্ত ব্যাংকের যেকোনো শাখায় যান। কোনো ব্যাংক ভিসা কার্ড প্রদান করে কিনা, তা উক্ত ব্যাংকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে জানতে পারবেন। আপনার ইতিমধ্যে একাউন্ট আছে, এমন ব্যাংকে ভিসা কার্ড সুবিধা থাকলে তাদের নিকট হতে ভিসা কার্ড নিতে ব্যাংকের শাখায় চলে যান।
ব্যাংকে যাওয়ার পর নিয়োজিত এজেন্টের কাছে গিয়ে আপনার ভিসা কার্ড নেওয়ার বিষয়টি জানান। উল্লেখ্য যে কোনো ব্যাংক থেকে ভিসা ডেবিট কার্ড নিতে চাইলে উক্ত ব্যাংকে একটি একাউন্ট থাকা আবশ্যক। তাই যে ব্যাংক থেকে ভিসা ডেবিট কার্ড নিতে চান, উক্ত ব্যাংকে একাউন্ট না থাকলে প্রথমে একটি একাউন্ট তৈরী করে নিতে হবে।
ব্যাংক একাউন্ট তৈরী করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি ও ২কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবির প্রয়োজন হবে। এছাড়া নমিনি হিসেবে যাকে এড করবেন তার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও লাগবে। ব্যাংকের দরকার অনুযায়ী আরও ডকুমেন্ট লাগতে পারে।