youtube channel khulbo

Rate this post

youtube channel khulbo

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম: আপনি কি ইউটিউবের মাধ্যমে নিজের ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট করার কথা ভাবছেন? জানতে চান ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে?

সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কর্মক্ষেত্রগুলোতে এক বিশাল পরিবর্তন ঘটেছে। পূর্বে একটি চাকরি করে, সংসার চালানোর মন মানসিকতা ছিল সকলের। কিন্তু বর্তমানে মানুষ চাকরির ক্ষেত্রে কাজের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দ, ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে প্রাধান্য দিচ্ছে। একসময় মানুষ ঘরে বসে নিজের কাজ করার স্বপ্ন দেখলেও বর্তমানে মানুষ কাজের ক্ষেত্রে নিজের পছন্দমতো সময়ে, ঘরে বসে টাকা আয়ের মাধ্যমকে প্রাধান্য দিচ্ছে। মানুষের চিন্তা ধারার পালে যেমন হাওয়া লাগিয়েছে ইন্টারনেট। ঠিক তেমনি করে কাজের ক্ষেত্রে মানুষ প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে আসছে। সেই থেকে ইউটিউবে থেকে আয়ের সূত্রপাত।

বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হল ইউটিউব। ইউটিউবের বহুমুখী ব্যবহারের কারণে, দিন দিন, সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুন হারে। একই সাথে অডিও এর পাশাপাশি, ভিডিও দেখা যায় বলে সকলের কাছে সমান তালে জনপ্রিয় এই ইউটিউব। বয়সভেদে সকলের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষস্থানে অবস্থান করে থাকে ইউটিউবে।

পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান ২০২২

ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম ২০২২

ইউটিউবের বিস্তর জনপ্রিয়তার কারণে দিন দিন ইউটিউবে এর গ্রাহকসংখ্যা বাড়ছে দ্বিগুন হারে। কিন্তু আপনি কি জানেন? ইউটিউবে এখন আর কোনো বিনোদনের উৎস হিসেবে নয় বরং উপার্জনের ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইউটিউবকে। একজন ব্যক্তি একটি সাধারণ চাকরি করে, যে পরিমান টাকা আয় করতে পারবেন। তার থেকে অনেক বেশি টাকা আয় করতে পারবেন ইউটিউব থেকে। কিন্তু কিভাবে চলুন জেনে নেই।

ইউটিউবে চ্যানেল খোলার উপায়

আপনি যদি ইউটিউবের মাধ্যমে আপনার ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে সবার আগে আপনাকে জানতে হবে কিভাবে আপনি একটি ইউটিউবে চ্যানেল থেকে আয় করা যায়। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আপনাকে সবার আগে খুলতে হবে ইউটিউবে চ্যানেল। আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল দুইভাবে খুলতে পারবেন

  • মোবাইলের মাধ্যম।
  • কম্পিউটারের মাধ্যমে।

চলুন তাহলে জেনে নেই মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে:

মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম

বর্তমানে ছোট বড় সকলের সংগ্রহে রয়েছে একটি ব্যক্তিগত এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে, নিজেকে একটি স্বনামধন্য ইউটিউবার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার, তাহলে আপনি ঘরে বসেই আপনার ব্যবহৃত ফোনটি দিয়ে খুলতে পারবেন ইউটিউবে একাউন্ট। তা কিভাবে? চলুন জেনে নেই মোবাইলে ইউটিউব চ্যানেল খোলার নিয়ম সম্পর্কে :

  • মোবাইলের মাধ্যমে ইউটিউব এ চ্যানেল খুলতে হলে আপনার মোবাইলে ইউটিউব অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করতে হবে
  • এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করা হয়ে গেলে আপনি এপ্লিকেশনটি ওপেন করে নিন। ওপেন করে ডান দিকের কর্নারে একাউন্টে একটি জিমেইল আইডি যুক্ত করে দিতে হবে। যেকোনো ইউটিউবে একাউন্ট খোলার জন্য জিমেইল আইডি খোলা খুবই প্রয়োজন।
  • জিমেইল আইডি এড করার পর আপনাকে ইউটিউব এ একাউন্টে খোলার জন্য সাইন ইন করতে হবে। সাইন ইন অপশনে আপনার নাম, জন্মতারিখ, লিঙ্গ, মোবাইল নাম্বারসহ প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে পূরণ করতে হবে।
  • তথ্যাদি পূরণ করার পর দেখবেন ইউটিউবে চ্যানেল নামে একটি অপশন রয়েছে। খুব ভালো করে লক্ষ্য করবেন আপনি ইমেইলে যে নামটা ব্যবহার করেছেন সে নাম আপনার ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়ে গেছে।
  • আপনি সেই অপশনে গিয়ে আপনার পছন্দমতো নাম সেট করতে পারেন ইউটিউব চ্যানেলের জন্য।

টেকনলোজি ভিওিক:

আপনি যদি ইউটিউবে চ্যানেল খুলে কি ধরণের ভিডিও আপলোড করবেন সেই সম্পর্কে শুণ্য জ্ঞান থাকে চান তাহলে আপনাকে টেকনোলজি বিষয়ক ভিডিও চ্যানেল আপলোড দিতে পারেন। দিন দিন টেকনোলজি ক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে। প্রতিদিন নতুন নতুন টেকনোলজি আমাদের সামনে আসছে। আপনি যদি টেকনোলজি কেন্দ্রিক ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনি টেকনোলজি প্রেমীদের আকর্ষণ করতে পারবেন বেশি।

টিউটোরিয়াল ভিওিক :

শিক্ষায় জাতির মেরুদন্ত এই কথা আমরা সবাই জানি। তাই আজকাল সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে এসেছে ই লার্নিং। আপনি যদি নানা ধরনের শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করেন তাহলে আপনি সহজে শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ করতে পারবেন।

শিক্ষামূলক ভিওিক:

মানুষ সব সময় নতুন কিছু শিখতে চায়। তাই আপনি যদি ইউটিউব থেকে নতুন কিছু শিখতে চান তাহলে আপনি শিক্ষামূলক ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

ফুড ব্লগিং ;

সময়ের সাথে ফুড ব্লগিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ নতুন নতুন খাবার সম্পর্কে জানতে চায়, জানতে চায় নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে। তাই আপনি চাইলে ফুড ব্লগিং চ্যানেল খুলে আয় করতে পারেন অনেক টাকা।

গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয়:

আজকাল ইউটিউব থেকে আয়ের অন্যতম ক্ষেত্র হলো গুগল এডসেন্স থেকে আয়। আপনি চ্যানেলে সাবক্রাইবার এবং চ্যানেলের ভিউ এর উপর নির্ভর করে আপনি আবেদন করতে পারবেন গুগল এডসেন্স থেকে।

ফ্রি ফেসবুক চালানোর উপায়

আপনার আবেদনের উপর গুগল আপনাকে যাচাই করবে। আর একবার যদি গুগল এডসেন্স আবেদনের জন্য গ্রহণ যোগ্য হয়ে বিবেচিত হতে চান তাহলে আপনাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না।

মূলত আপনার চ্যানেলের আপলোডকৃত ভিডিও মাঝে গুগল তার বিজ্ঞাপন দেখাবে। উক্ত বিজ্ঞাপনের আলোকে গুগল তার শেয়ার রেখে বাকি টাকা আপনাকে টাকা করা হবে। তাই গুগল এডসেন্স হয়ে উঠেছে ইউটিউব থেকে আয়ের অন্যতম ক্ষেত্রে।

স্পন্সরদের মাধ্যমে টাকা আয়

একসময় কোম্পানীসমূহ তাদের পণ্যসমূহ প্রচারের জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হত। কিন্তু সময় পাল্টেছে। মানুষ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় কিংবা ইউটিউবারদের সাথে কোলাবোরেশন করে তাদের চ্যানেলে ভিডিও এর মাঝে নিজের বিজ্ঞাপন প্রচার করে।

বড় বড় ইউটিউবারদের সাথে কোলাবোরেশন করলে যেমন কোম্পানির লাভ হবে ঠিক তেমনি আপনি আপনিও লাভবান হবেন।

সুন্দর সুন্দর ইউটিউব চ্যানেলের নাম:

বর্তমান সময়ে তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলের আকর্ষণের প্রধান কেন্দ্ৰবিন্দু হলো ইউটিউব। আয়ের উৎস হিসেবে অনেকে এখন মানুষ ইউটিউবকে প্রাধান্য দিচ্ছে। তাই আপনি যদি ইউটিউবার হিসেবে নিজেকে আত্নপ্রকাশ করতে চান তাহলে বিষয়টি মন্দ হবে না।

একটি ইউটিউব চ্যানেলকে সবার সামনে তুলে ধরতে হলে আপনার চ্যানেলের জন্য একটি ভিন্নধর্মী নাম নির্বাচন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কোন সাধারণ নাম দিয়ে থাকেন আপনার ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকেন কিংবা আপনি যদি আপনার চ্যানেলর জন্য অন্য চ্যানেলের নাম অনুসরণ করে দেন তাহলে আপনার চ্যানেলে তেমন সবার সামনে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন না। তাই জেনে বুঝে চ্যানেলের নাম নির্বাচন করা শ্রেয়।

আজ আমি ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কিছু ভিন্নধর্মী নাম নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।

যদি টেকনোলজি চ্যানেল নির্বাচন করেন তাহলে আপনি চ্যানেলের নাম দিতে পারেন Tech Gaint,Tech Buddha,Tech Mania,Tech expresseer ইত্যাদি নাম দিতে পারেন।

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি

আপনার চ্যানেল যদি যদি টিউটোরিয়াল মূলক হয় তাহলে নাম দিতে পারেন A-Z learning,চলে শিখি পাঠশালায়,চলো শিখি ইত্যাদি নাম ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার চ্যানেল যদি শিক্ষামূলক হয় তাহলে চ্যানেল এর নাম দিতে পারেন Learn for Today,Apply for Tomorrow,Being hero ইত্যাদি সব নামে।

ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশনঃ

ইউটিউবে আয় করতে হলে অবশই আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করতে হবে। মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে আপনার ইউটিউব থেকে নির্ভর করে । এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন হতে পারে মনিটাইজেশন কি ?

মূলত ইউটিউবের চ্যানেলে বিভিন্ন নিয়ম কানুন মেনে একটি পরিপূর্ণ চ্যানেল রূপে প্রতিষ্ঠা করতে যে কাজগুলো করতে হয় তাকে বলা হয় চ্যানেল মনিটাইজেশন।

ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন
ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *